হাইকোর্টে আবারও খালেদার জামিন আবেদন
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাত বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন সরাসরি খারিজ (সামারিলি রিজেক্ট) হয়ে যাওয়ার পর হাইকোর্টে আবারও জামিন আবেদন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) খালেদা জিয়ার অন্যতম আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ জামিন আবেদন করেন।
হাইকোর্টের বিচারপতি ফরিদ আহমেদ ও বিচারপতি এ এস এম আবদুল মোবিনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে এ আবেদনের বিষয়ে শুনানি হতে পারে বলে আইনজীবী নিজেই জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন।
হাইকোর্টে জামিন আবেদন খারিজ হওয়র পর আবারও জামিন আবেদন করার বিষয়ে দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান সাংবাদিকদের বলেন, এ মামলায় হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ জামিন আবেদন সরাসরি খারিজ করে দিয়েছিলেন। এখন আবারও হাইকোর্টে আবেদন করা হয়েছে। এমন নজির নেই। হাইকোর্ট খারিজ করলে আপিল বিভাগে যেতে হয়।
এ বিষয়ে খালেদা জিয়ার আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, এর আগে জামিন রিজেক্ট হয়েছে ঠিকই। তবে হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চে জামিন আবেদন খারিজ হওয়ার পর আবারও হাইকোর্টে জামিন চাওয়ার আইনগত বাধা নেই।
তিনি আরও বলেন, রুল অ্যান্ড প্যাকটিস অনুযায়ী আবেদন করা যায়। আর দ্বিতীয়বার জামিন আবেদন করার বিষয়ে কোনো আইনজীবী যদি বলে থাকেন, তবে তার আইন জানা দরকার।
২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার রায় ঘোষণা করেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫-এর বিচারক। রায়ে খালেদা জিয়াকে সাত বছর করে কারাদণ্ড এবং ১০ লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড করা হয়। বিচারিক আদালতের দেয়া ওই সাজা বাতিল ও খালাস চেয়ে গত বছরের ১৮ নভেম্বর হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আপিল করেন খালেদা জিয়া।
এর গ্রহণযোগ্যতার ওপর শুনানি নিয়ে গত ৩০ এপ্রিল হাইকোর্ট খালেদা জিয়ার আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন। একই সঙ্গে ওই মামলায় খালেদা জিয়াকে বিচারিক আদালতে দেয়া জরিমানার আদেশ স্থগিত করে বিচারিক আদালতে থাকা মামলাটির নথি তলব করেন হাইকোর্ট। দুই মাসের মধ্যে নথি পাঠাতে বলা হয়। বিচারিক আদালত থেকে মামলার নথি গত ২০ জুন হাইকোর্টে পাঠানো হয়।
এরপর খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের বিষয়টি আদালতে তুলে ধরেন তার আইনজীবীরা। এর ধারাবাহিকতায় ৩০ জুলাই জামিন আবেদনের ওপর শুনানি হয়। পরের দিন ৩১ জুলাই তা সরাসরি খারিজ করে দেন হাইকোর্ট।
এফএইচ/আরএস/পিআর