জাহালম কাণ্ড : দুদকের ১১ কর্মকর্তা নিয়ে হাইকোর্টে শুনানি আজ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১১:৪৯ এএম, ২৮ আগস্ট ২০১৯

জাহালম কাণ্ডে জড়িত দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলার ১১ তদন্ত কর্মকর্তার নাম কী, তাদের বিরুদ্ধে কী কারণে বিভাগীয় মামলা হয়েছে -এসব বিষয়ে হাইকোর্টে আজ (বুধবার) শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। দুপুর ২টার পর এ বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।

দুদকের ভুলে নিরপরাধ পাটকল শ্রমিক জাহালমের বিরুদ্ধে দায়ের করা ৩৩ মামলার ১১ তদন্ত কর্মকর্তার নামের তালিকাসহ বিস্তারিত প্রতিবেদন চেয়েছেন হাইকোর্ট। কী কারণে এসব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা হয়েছে তাও প্রতিবেদনে উল্লেখ করতে বলা হয়েছে।

২১ আগস্ট (বুধবার) মামলার বিষয়ে দুদকের পক্ষ থেকে প্রতিবেদন জমা দেয়ার পর হাইকোর্টের বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে ওইদিন দুদকের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। ব্র্যাক ব্যাংকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামান। সোনালী ব্যাংকের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার শেখ মো. জাকির হোসেন এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার এবিএম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।

সোনালী ব্যাংকের প্রায় সাড়ে ১৮ কোটি টাকা জালিয়াতির অভিযোগে আবু সালেক নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে ৩৩টি মামলা করে দুদক। কিন্তু সংস্থাটির ভুলে সালেকের বদলে টাঙ্গাইলের জাহালমকে তিন বছর কারাগারে থাকতে হয়। বিষয়টি নিয়ে সংবাদ প্রকাশ হলে আদালত স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে রুল জারি করেন।

৩ ফেব্রুয়ারি জাহালমকে অর্থ জালিয়াতির মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়ে ওই দিনই মুক্তির নির্দেশ দেয়া হয়। সে অনুযায়ী তিনি মুক্তি পান।

জাহালমের বিনাদোষে তিন বছর কারাভোগের ক্ষেত্রে কারা দায়ী সে ব্যাপারে ১৭ এপ্রিল দুদকের অভ্যন্তরীণ তদন্ত প্রতিবেদন তলব করে হাইকোর্ট। ১১ জুলাই দুদক হাইকোর্টে প্রতিবেদন জমা দেয়। এ প্রতিবেদনে বলা হয়, জাহালমকে আবু সালেক হিসেবে শনাক্ত করার ভুলটি হয়েছে দুদকের তদন্তকারী কর্মকর্তাদের কারণে।

১৬ জুলাই হাইকোর্ট তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে দুদক কী পদক্ষেপ নিয়েছে তা ২১ আগস্টের মধ্যে জানাতে নির্দেশ দেন। সে অনুযায়ী বুধবার (২১ আগস্ট) দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান প্রতিবেদন দাখিল করে ১১ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে আদালতকে জানান। কিন্তু তদন্ত কর্মকর্তাদের নাম ও তাদের বিরুদ্ধে কী অভিযোগে বিভাগীয় মামলা করা হয়েছে সে ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য না থাকায় প্রতিবেদনটি গ্রহণ করেননি হাইকোর্ট।

আদেশের পরে খুরশীদ আলম ওই দিন বলেন, ‘আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক বুধবার একটি প্রতিবেদন দিয়েছি। আদালতকে দেখিয়েছি যে ১১ জন তদন্ত কর্মকর্তাকে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছিল। তারা জবাব দিয়েছিলেন। কিন্তু দুদক জবাবে সন্তুষ্ট না হয়ে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করে। আর ঋণ জালিয়াতির ৩৩টি মামলার পুনরায় তদন্তের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আদালত এ প্রতিবেদন নথিভুক্ত করে রেখেছেন। পাশাপাশি ১১ কর্মকর্তা কারা, তাদের বিরুদ্ধে কী কারণে মামলা হয়েছে সে ব্যাপারে ২৮ আগস্টের মধ্যে বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলেছেন।’

এফএইচ/আরএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।