‘মৃত্যুকে আলিঙ্গনে সবসময় প্রস্তুত থাকতেন বঙ্গবন্ধু’

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯:২১ পিএম, ২৭ আগস্ট ২০১৯
ফাইল ছবি

মৃত্যুর মুখে জেনেও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আপস করেননি। নিশ্চিত কারাবন্দি হবেন জেনেও বিচলিত হননি। সব সময় মৃত্যুকে আলিঙ্গনে প্রস্তুত ছিলেন তিনি। স্বাধীনতার আন্দোলনে আপস না করে তিনি স্বাধীন বাংলাদেশ উপহার দিয়ে গেছেন।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী (বার) সমিতির শহিদ শফিউর রহমান মিলনায়তনে জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংসদ সদস্য শেখ ফজলে নূর তাপস এমন মন্তব্য করেন।

বৃহত্তর ফরিদপুর সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী কল্যাণ সমিতি আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান ও জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন। বক্তব্য রাখেন হাইকোর্টের বিচারপতি ফরিদ আহমেদ, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এবিএম নুরুল ইসলাম, সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সম্পাদক ড. বশির আহমেদ ও মোমতাজ উদ্দিন মেহেদী। সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি এস এম মুনীর। সঞ্চালনায় ছিলেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. গিয়াস উদ্দিন আহম্মেদ।

ফজলে নূর তাপস বলেন, ২৬ মার্চ গ্রেফতার হওয়ার আগে বঙ্গবন্ধু আপসহীন থেকে সবাইকে স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার ডাক দিয়েছিলেন। বলেছিলেন, যদি বেঁচে নাও থাকি তবুও স্বাধীনতার লড়াই চালিয়ে যেতে হবে।

তিনি বলেন, পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট যখন ঘাতকরা বঙ্গবন্ধুর সামনে হাজির হয়েছিল, সেদিনও তিনি হুঙ্কার দিয়ে বলেছিলেন কী চাস তোরা? সেদিন সেনাপ্রধান তাকে সরে যেতে বললেও তিনি সরে যাননি। বিচলিত না হয়ে নিজ কক্ষেই ছিলেন। ৩ নভেম্বর যখন জাতীয় চার নেতাকে কারাগারে হত্যা করা হয়, তারা পারতেন খুনি মোশতাকের সঙ্গে হাত মেলাতে। তারাও মৃত্যুকে আলিঙ্গন করেছেন। এটাই হলো আওয়ামী লীগের আদর্শ। মৃত্যুর মুখে থেকেও আদর্শে অবিচল থাকতে হবে, এ শিক্ষা বঙ্গবন্ধু দিয়ে গেছেন। আমাদের সে আদর্শ ধারণ করতে হবে।

জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এবিএম নুরুল ইসলাম সুপ্রিম কোর্টের যেকোনো একটি গেটের নাম বঙ্গবন্ধু গেট নামকরণের দাবি জানান। ফজলে নূর তাপসের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনার মাধ্যমে আমরা সুপ্রিম কোর্টে বঙ্গবন্ধু গেট চাই।

এফএইচ/এমএসএইচ/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।