সুন্দরবনের ১০ কিলোমিটারের মধ্যে কারখানা নিয়ে জাজমেন্ট মঙ্গলবার

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০২:৫৩ পিএম, ২৫ আগস্ট ২০১৯

সুন্দরবনের ১০ কিলোমিটার সংকটাপন্ন এলাকার মধ্যে কোনো শিল্প কারখানা স্থাপন করা যাবে কি না, সে সংক্রান্ত বিষয়ে জাজমেন্টের জন্য আগামী মঙ্গলবার দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট।

এ সংক্রান্ত মামলার শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কেএম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

আদালতে আজ মামলার পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার এবিএম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।

এর আগে হাইকোর্টের অপর একটি বেঞ্চ এ বিষয়ে রুল জারিসহ নির্দেশনা দিয়েছিল। ২০১৭ সালের ২৪ আগস্ট হাইকোর্টের বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি জে বি এম হাসান সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ সংক্রান্ত রিটের শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।

সুন্দরবনের ১০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে কতগুলো শিল্প-কারখানা রয়েছে সেই তথ্য প্রতিবেদন আকারে আদালতে দাখিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে, সুন্দরবনের আশপাশে নতুন করে শিল্প-কারখানা অনুমোদনের ওপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।

সুন্দরবনের ১০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে শিল্প-কারখানা স্থাপনের অনুমোদন কেন পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের ১৯৯৯ সালের প্রজ্ঞাপনের লঙ্ঘন হবে না এবং নির্মিত নতুন শিল্প-কারখানা কেন অপসারণ করা হবে না তা জানতে চেয়েও রুল জারি করেছেন আদালত।

পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সচিব, শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব, ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব, পরিবেশ অধিদফতরের ডিজি, ডেপুটি কমিশনার খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, বরগুনা ও খুলনার পুলিশ সুপারকে (এসপি) ওই রুলের জাবাব দিতে বলা হয়েছে।

গত এপ্রিলে সুন্দরবনের চারদিকে ১০ কিলোমিটার এলাকার মধ্যে স্থাপিত শিল্প-কারখানাসহ অন্যান্য স্থাপনা সরিয়ে নেয়ার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়। একই সঙ্গে ১০ কিলোমিটারের মধ্যে যেসব কলকারখানা স্থাপনের অনুমতি বা ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে তা বাতিলেরও আবেদন জানানো হয়।

‘সেভ দ্য সুন্দরবন ফাউন্ডেশন’র সভাপতি শেখ ফরিদুল ইসলাম হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় গত ৪ এপ্রিল রিট আবেদনটি দাখিল করেন।

এফএইচ/জেএইচ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।