ছাগল ছিনতাইয়ের মামলায় ছাত্রলীগ নেতার আগাম জামিন

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১১:১৩ এএম, ২০ আগস্ট ২০১৯
মোহাম্মদপুর থানা ছাত্রলীগ সভাপতি মুজাহিদ আজমী তান্না

২১২টি ছাগল ছিনতাইচেষ্টার অভিযোগে করা মামলায় রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানা ছাত্রলীগের সভাপতি মুজাহিদ আজমী তান্নার চার সপ্তাহের আগাম জামিন মঞ্জুর করে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। জামিন চেয়ে করা আবেদনের শুনানি নিয়ে সোমবার (১৯ আগস্ট) হাইকোর্টের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। জামিনের বিষয়টি মঙ্গলবার জানা গেছে।

আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আঞ্জুমান আরা বেগম মুন্নী। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।

আইনজীবী আঞ্জুমান আরা বেগম বলে, আদালত তার চার সপ্তাহের আগাম জামিন মঞ্জুর করে আদেশ দিয়েছেন। এর আগে গত রোববার (১৮ আগস্ট) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় ছাত্রলীগ নেতার পক্ষে জামিন চেয়ে আবেদন করা হয়।

গত ১১ আগস্ট মুজাহিদ আজমী তান্নাসহ নয়জনের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা করেন র‍্যাব-২ এর সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার মো. ফারুখ হোসেন।

এজাহার থেকে জানা যায়, যশোরের বারোবাজার পশুরহাট ও ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ এলাকা থেকে গত ১১ আগস্ট সকালে ঢাকায় এসে পৌঁছান পাঁচ ছাগল ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম, ফারুক বিশ্বাস, মোহাম্মদ মাসুদ, বাবু খান, শেখ সোলেমান ও মো. নুরুজ্জামান। তারা একটি ট্রাকে করে ২১২টি ছাগল নিয়ে আসেন।

মোহাম্মদপুরের বাবর রোড এলাকায় গেলে জহুরি মহল্লা এলাকায় তাদেরকে ছাগলসহ আটকে রাখা হয়। ছিনতাইকারীরা ছাগলগুলো ট্রাক থেকে নামিয়ে একটি ক্লাবের ভেতরে পাঁচ ব্যবসায়ীকে আটকে রাখেন। পরে র‍্যাব-২ এর একটি টহল দল জিম্মিদশা থেকে ব্যবসায়ীদের উদ্ধার করেন।

ব্যবসায়ীদের উদ্ধারের র‍্যাব-২ এর কমান্ডিং অফিসার পুলিশ সুপার মহিউদ্দিন ফারুকী বলেন, ‘১১ আগস্ট অর্থাৎ ঈদের আগের দিন দুপুর ১২টার সময় ব্যবসায়ীরা প্রথমে আমাদের ফোনে খবর দেন। খবর দিয়ে ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেন, বাবর রোডে ২১২টি ছাগল ছিনতাই করে করে ট্রাকসহ আটকে রাখা হয়েছে। ওই সময় মোহাম্মদপুর এলাকায় র‌্যাবের একটি মোবাইল টিম কাজ করছিলেন। পরে মোবাইল টিমসহ আমরা ঘটনাস্থলে একটি ক্লাব ঘরের ভেতরে ছাগল ব্যবসায়ীদের আটক অবস্থায় পাই। সেখানে তিনজন ছিনতাইকারী উপস্থিত ছিলেন। পাশে একটি মাচা করা ট্রাকের ওপর-নিচে মিলে মোট ২১২টি ছাগল ছিল। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্দেশে আমরা ব্যবসায়ীদের ও ছিনতাইকারীদের মোহাম্মদপুর থানায় সোপর্দ করি।’

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সজীব ঘোষ জানান, তিন আসামি ইয়াসির আরাফাত, জাহিদুল ইসলাম ও মো. রায়হানকে র‍্যাব-২ থানায় সোপর্দ করে। তাদের তিনদিন করে রিমান্ডে নেওয়া হলে আসামিরা তাদের অপরাধ স্বীকার করেছেন।

সজীব ঘোষ বলেন, ‘মোহাম্মদপুর থানা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বাবর রোডের ছাত্রলীগ অফিসের কাছাকাছি স্থানে একটি অস্থায়ী ছাগলের হাট বসান। ওই হাটে ছাগল ব্যবসায়ীদের জিম্মি করে রাখতেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। জিম্মি করে চাঁদা দাবি করতেন তারা। ছাত্রলীগের তৈরি ওই হাটে ছাগল রাখতেও জোর করা হতো ব্যবসায়ীদের।’

এফএইচ/এসএইচএস/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।