পরীক্ষণ বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের স্থায়ী নিয়োগ কেন নয়
বাংলাদেশ কর্ম কমিশন কর্তৃক প্রকাশিত চলতি বছরের (গত ১৭ এপ্রিলের) স্মারকের পিটিআই সংলগ্ন পরীক্ষণ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
রুলে পিটিআই সংলগ্ন পরীক্ষণ বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে কর্মরত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের স্থায়ী নিয়োগের নির্দেশনা কেন দেয়া হবে না তাও জানতে চেয়েছেন আদালত। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে বিবাদীদের এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে হাইকোর্টের বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ আজ (রোববার) এই আদেশ দেন।
রিটকারীদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ সিদ্দিক উল্লাহ্ মিয়া এবং তাকে সহযোগিতা করেন অ্যাডভোকেট মো. মনিরুল ইসলাম রাহুল ও অ্যাডভোকেট সোহরাওয়ার্দী সাদ্দাম। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার এ বি এম আবদুল্লাহ আল আল মাহমুদ বাশার।
রিটকারীদের আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ্ মিয়া বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা ২০০৮ সাল থেকে পিটিআই সংলগ্ন পরীক্ষণ বিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে কর্মরত। কিন্তু প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় বাংলাদেশ কর্ম কমিশনের মাধ্যমে গত ১৭ এপ্রিল এ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি জারি করেন। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা ২০০৮ সাল থেকে কর্মরত থাকলেও ওই পদে তাদের স্থায়ীভাবে নিয়োগ করা হয়নি। তাই বিভিন্ন জেলার ৮৪ জন সহকারী শিক্ষক এ রিট করেন। রিটের শুনানি নিয়ে এই রুল জারির আদেশ দেন আদালত।
এফএইচ/এনএফ/এমএস