ইয়াবা উদ্ধারে ওসি কেন আসামি নয়, অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে তলব
৪৯ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধারের মামলায় ওসিকে আসামি না করায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সিআইডি) নাজিম উদ্দিন আজাদকে তলব করেছেন হাইকোর্ট।
এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দেয়ার জন্য আগামী ২২ আগস্ট তাকে সশরীরে উপস্থিত হতে বলা হয়েছে। আসামিদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে ওসির নাম আসার পরও নারায়ণগঞ্জ বন্দর থানার ওই সময়ের ওসি কামরুল ইসলামকে এ মামলায় আসামি না করায় সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে তলব করা হলো।
আরও পড়ুন >> ৫০ হাজার ইয়াবাসহ এএসআই ধরা
৪৯ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার মামলায় এক আসামির জামিনের বিষয়ে শুনানিতে বুধবার হাইকোর্টের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে আজ জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট ফরহাদ আহমেদ। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সরওয়ার্দী।
আদালত তার আদেশে বলেন, তিন/চারজন আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এ মামলার আসামি ওসি কামরুল ইসলামের নাম এসেছে। কিন্তু তাকে আসামি হিসেবে অভিযোগপত্রে অন্তর্ভুক্ত না করে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। এটা কীভাবে সম্ভব?
এরপর হাইকোর্ট তদন্তকারী কর্মকর্তাকে তলবের পাশাপাশি ওসিকে মামলার অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেয়া কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন। সংশ্লিষ্টদের এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
২০১৮ সালের ৭ মার্চ নারায়ণগঞ্জ সদর থানার এএসআই মোহাম্মদ সরওয়ার্দীর বাসা থেকে ৪৯ হাজার পিস ইয়াবা ও পাঁচ লাখ টাকা উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ ডিবি পুলিশ। ওই ঘটনায় দায়ের করা মামলার আসামি পুলিশ সদস্য আসাদুজ্জামান ও মোহাম্মদ সরওয়ার্দীসহ বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তারা বলেন, নারায়ণগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামরুল ইসলামের নির্দেশেই তারা টাকা ও ইয়াবা রেখেছেন। কিন্তু তদন্তকারী কর্মকর্তা ওসিকে মামলার আসামি থেকে বাদ দেন।
এফএইচ/এমএআর/এমকেএইচ