খালেদার জামিনের বিষয়ে ফের শুনানি বুধবার
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাত বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের ওপর প্রথম দিনের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ বিষয়ে আগামীকাল বুধবার ফের শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
আগামীকাল অ্যাটর্নি জেনারেলের বক্তব্য শুনে তারপর খালেদার জামিনের বিষয়ে আদেশ দেবেন আদালত। হাইকোর্টের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আজ খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, জয়নুল আবেদীন ও মাহবুবউদ্দীন খোকন। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন খুরশীদ আলম খান। এ সময় রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির উপস্থিত ছিলেন।
সহযোগিতায় ছিলেন ব্যারিস্টার কায়সার কমাল, আমিনুল ইসলাম, রাগিব রউফ চৌধুরী,মির্জা আল মাহমুদ, আখতারুজ্জামান, আনিছুর রহমান খান, সগীর হোসেন লিয়ন, এ কে এম এহসানুর রহমান, নওশাদ জমির, মীর হেলাল, ফাইয়াজ জিবরান, আতিকুর রহমান। দুদকের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।
এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জামির উদ্দিন সরকার, ড. আব্দুল মঈন খান। বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি হাবিব-উন-নবী খান সোহেল। মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা খানম আব্বাস, সম্পাদক সুলতানা আহমেদ প্রমুখ।
এর আগে গত (২৮ জুলাই) রোববার খালেদার আইনজীবীর আবেদনের প্রেক্ষিতে একই বেঞ্চ জামিন শুনানির জন্য আজকের দিন ধার্য করেন। এরই ধারাবাহিকতায় আজ আবেদনটি শুনানির জন্য আসে।
গত ৩০ এপ্রিল জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাত বছরের দণ্ডের বিরুদ্ধে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে অর্থদণ্ড স্থগিত এবং সম্পত্তি জব্দের ওপর স্থিতাবস্থা দিয়ে দুই মাসের মধ্যে ওই মামলার নথি তলব করেছিলেন।
ওইদিন আপিল শুনানি গ্রহণের পর জয়নুল আবেদীন খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন শুনানি করতে গেলে আদালত বলেছিলেন, আগে নথি আসুক। তখন দেখা যাবে।
গত জুনে ওই নথি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ থেকে হাইকোর্টে আসে। আপিলের পর খালেদার জামিনের বিষয়ে ব্যারিস্টার কায়সার জামান বলেছিলেন, খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ। তাই তার জামিন চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। আমরা আশা করছি আদালত বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে জামিন দেবেন।
এফএইচ/এনএফ/এমএসএইচ/পিআর/জেআইএম