‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের যে ধারায় আপত্তি তা সমাধান হবে’
আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন শুধু সাইবার অপরাধ দমন করার জন্য করা হয়েছে। বাক-স্বাধীনতা এবং সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ব্যাহত করার জন্য এটি প্রণয়ন করা হয়নি। এই আইন প্রণয়নের সময় বাংলাদেশের ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়া প্রতিনিধি, সিভিল সোসাইটিসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে। তারপরও আইনটির যে ধারা নিয়ে স্টেকহোল্ডারদের কিছু অংশ আপত্তি জানাচ্ছে তা পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে সমাধান করা হবে।
সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় জাতিসংঘ মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাচেলেটের সঙ্গে আইনমন্ত্রীর মন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে এ আশ্বাস দেয়া হয় বলে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় জনসংযোগ কর্মকর্তা ড. মো. রেজাউল করিম জানান।
জাতিসংঘ নির্যাতনবিরোধী কনভেশনের (ইউএনসিএটি) পর্যালোচনা সভায় যোগদানের উদ্দেশে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের নেতৃত্ব বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল এখন জেনেভায় অবস্থান করছে। আজ মঙ্গলবার ও আগামীকাল জেনেভায় এ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। জাতিসংঘ নির্যাতনবিরোধী কমিটি এ সভার আয়োজন করেছে। সভায় বাংলাদেশ থেকে পাঠানো নির্যাতনবিরোধী প্রতিবেদন নিয়ে পর্যালোচনা হবে।
বাংলাদেশ থেকে এবারই প্রথম নির্যাতনবিরোধী প্রতিবেদন জাতিসংঘের নির্যাতনবিরোধী কমিটিতে দাখিল করা হয়েছে।
বৈঠকে আইনমন্ত্রী হাইকমিশনারকে জানান, মানবাধিকার বাংলাদেশের মানুষের সাংবিধানিক অধিকার। বতর্মান সরকার মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় অত্যন্ত আন্তরিক এবং মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় সব রকম প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে শক্তিশালীকরণের বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এর অংশ হিসেবে কমিশনের চেয়ারম্যান নিয়োগের ক্ষেত্রে সিভিল স্যোসাইটির মতামতের সুযোগ রাখা হয়েছে।
রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে আলোচনার শুরুতেই মিশেল ব্যাচেলেট রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ার জন্য বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে আলোচনার জন্য তাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। এ সময় আইনমন্ত্রী তাকে বলেন, মিয়ানমার পরিদশর্নের আগে বাংলাদেশের রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করলে রোহিঙ্গা সমস্যার প্রকৃত কারণ অনুধাবন করা সহজ হবে। তাই মিয়ানমার পরিদর্শনের আগে হাইকমিশনারকে বাংলাদেশের রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনের আমন্ত্রণ জানান আইনমন্ত্রী।
এ সময় তিনি হাইকমিশনারকে আশ্বস্ত করে বলেন, মানবাধিকার বিষয়ে বাংলাদেশ সবসময় জাতিসংঘ মানবাধিকার সংস্থার সঙ্গে পারষ্পরিক আলোচনা ও সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে।
বৈঠকে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, পররাষ্ট্র সচিব মো. শহিদুল হক, সুইজারল্যান্ডে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম শামীম আহসান অংশ নেন।
এফএইচ/এসআর/এমকেএইচ