ট্রাক উল্টে ১৩ শ্রমিকের মৃত্যু : ক্ষতিপূরণ দিতে রুল

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫:৫২ পিএম, ২৯ জুলাই ২০১৯

কুমিল্লার ইটভাটায় ট্রাক উল্টে ১৩ শ্রমিক নিহত ও ২ জন আহতের ঘটনায় তাদের প্রত্যেকের পরিবারকে কেন ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে না -তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে নিহত ও আহতদের জীবন রক্ষায় বিবাদীদের ব্যর্থতা কেন বেআইনি ও অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, অর্থ সচিব, পরিবেশ সচিব ও কুমিল্লার জেলা প্রশাসকসহ ছয়জনকে আগামী চার সমপ্তাহের মধ্যে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

নিহতদের পক্ষে দুই স্বজনের করা রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে সোমবার (২৯ জুলাই) হাইকোর্টের বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।

আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সৈয়দ মিজবাহুল আনওয়ার এবং তাকে সহায়তা করেন আইনজীবী মো. সোহরাব হোসেন ও মো. জামাল উদ্দিন। এছাড়া রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার এ বি এম আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।

এর আগে গত জুনে রিট আবেদনটি করেন নিহত রঞ্জিত চন্দ্র রায় ও তরুণ চন্দ্র রায়ের পিতা সুরেশ চন্দ্র রায় এবং মো. সেলিম মিয়ার পিতা মো. জাহাঙ্গীর আলম।

চলতি বছরের ২৫ জানুয়ারি কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের ঘোলপাশা ইউনিয়নের করিমপুরে ঘুমন্ত ইটভাটার শ্রমিকদের উপর ট্রাক উল্টে পড়লে ১৩ শ্রমিক মারা যান। নিহত শ্রমিকদের সবার বাড়ি নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলায়।

বিষয়টি নিয়ে দৈনিক সমকালে ‘ঘুম থেকে চিরঘুমে’, দৈনিক প্রথম আলোতে ‘ঘুমের মধ্যে চিরঘুমে ১৩ জন’, এবং দৈনিক যুগান্তরে ‘চৌদ্দগ্রামে কয়লার ট্রাক উল্টে ১৩ শ্রমিকের মৃত্যু’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। গণামাধ্যমের এসব প্রতিবেদন রিট আবেদনে যুক্ত করা হয়।

নিহতরা হলেন- নীলফামারী জেলার জলঢাকা উপজেলার নিজপাড়া গ্রামের সুরেশ চন্দ্র রায়ের ছেলে রঞ্জিত চন্দ্র রায় (৩০), তার ভাই তরুণ চন্দ্র রায় (২৫), জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে মো. সেলিম মিয়া (২৮), অমল চন্দ্র রায়ের ছেলে দিপু চন্দ্র রায় (১৯), কিশোর চন্দ্র রায়ের ছেলে শংকর চন্দ্র রায় (২১), রামপ্রসাদের ছেলে বিপ্লব চন্দ্র রায় (১৯), কামিক্ষার ছেলে অজিত রায় (২০), শিমুলবাড়ি গ্রামের মনোরঞ্জন চন্তদ্র রায় (১৯), খোকা চন্দ্র রায়ের ছেলে মৃণাল চন্দ্র রায় (২১), পাঠানপাড়া গ্রামের নুর আলমের ছেলে মো. মোরসালিন (১৮), ফজলুল করিমের ছেলে মাসুম (১৮), রাজবাড়ি গ্রামের খোকা চন্দ্র রায়ের ছেলে বিকাশ চন্দ্র রায় (২৮) ও ধলু চন্দ্র রায়ের ছেলে কনক চন্দ্র রায় (২৫)। এছাড়া গুরুতর আহত দু’জন হলেন- বিষ্ণু চন্দ্র ও মো. রিপন।

এফএইচ/আরএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।