দেশ থেকে পালানোর চেষ্টা করছিলেন দুদকের বাছির
অবৈধভাবে তথ্য পাচার ও ডিআইজি মিজানের কাছ থেকে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছির দেশ থেকে পালানোর চেষ্টা করছিলেন। এছাড়া মামলার গুরুত্বপূর্ণ আলামত বিনষ্ট করার হীন চেষ্টাসহ সাক্ষীদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করছিলেন। তাকে জামিন দেওয়া হলে মামলার গুরুত্বপূর্ণ আলামত বিনষ্ট করতে পারেন এবং তদন্তকাজে ব্যাঘাত ঘটাতে পারেন।
মঙ্গলবার বেলা ২টার দিকে বাছিরকে আদালতে হাজির করা হয়। এসময় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের পরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্যা তাকে জেলহাজতে প্রেরণের আবেদন করে এসব কথা উল্লেখ করেন। আবেদনে তিনি আরও বলেন, অবৈধ পন্থায় অর্জিত ৪০ লাখ টাকা ঘুষ হিসেবে গ্রহণ করে ওই টাকার অবস্থান গোপন করে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করায় আসামি বাছিরের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠনোর আবেদন জানাচ্ছি।
এর আগে সোমবার রাত ১০টা ২০ মিনিটে রাজধানীর দারুস সালাম থেকে বাছিরকে গ্রেফতার করা হয়।
গত ২১ জুলাই পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানকে এ মামলায় গ্রেফতার দেখান ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কেএম ইমরুল কায়েশ।
১৬ জুলাই দুদক পরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্যা ঢাকার এক নম্বর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে ডিআইজি মিজানুর রহমান ও দুদক পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরের বিরুদ্ধে মামলা করেন। ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ ওঠার পর দুই প্রতিষ্ঠান থেকেই ডিআইজি মিজান ও এনামুল বাছিরকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ থেকে রেহাই পেতে দুদকের পরিচালক এনামুল বাছিরকে ৪০ লাখ টাক ঘুষ দিয়েছেন বলে গত মাসের শুরুতে অভিযোগ করেন ডিআইজি মিজান। অভিযোগটি অস্বীকার করে বাছির দাবি করেন, তার কণ্ঠ নকল করে ডিআইজি মিজান কিছু ‘বানোয়াট’ রেকর্ড একটি টেলিভিশনকে সরবরাহ করেছেন।
অভিযোগ ওঠার পর গত ১২ জুন বাছিরকে সরিয়ে দুদকের আরেক পরিচালক মো. মঞ্জুর মোরশেদকে অনুসন্ধান কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়া হয়। ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে ফানাফিল্যাকে প্রধান করে তিন সদস্যের দলকে অনুসন্ধানের দায়িত্ব দেয়া হয়।
জেএ/এসএইচএস/পিআর