সাবেক স্বামীর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিলেন মিলা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯:২৩ পিএম, ২২ জুলাই ২০১৯

যৌতুকের জন্য মারধরের অভিযোগের মামলায় সাবেক স্বামী সানজারির বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছেন সংগীতশিল্পী মিলা। এ মামলায় আদালতে সাক্ষ্য দিতে হাজির না হওয়ায় মিলার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন বিচারক।

সোমবার ঢাকার ৯ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. শরিফ উদ্দিনের আদালতে সাক্ষী দেন মিলা। এদিন তার সাক্ষ্য শেষ না হওয়ায় পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ৩১ জুলাই দিন ধার্য করেন আদালত। এ সময় মিলার সাবেক স্বামী পারভেজ সানজারি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

২০১৭ সালে মিলার দায়ের করা নারী ও শিশু নির্যাতন মামলায় চার্জ গঠন হয়েছে ২০১৮ সালে। কিন্তু দেড় বছর ধরে মিলা সাক্ষী দিতে না আসায় একাধিকবার সমন জারি করা হয়। তবুও আদালতে হাজির না হওয়ায় অবশেষে ২৩ জুন মিলার নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৯ ঢাকা।

২০১৭ সালের ৫ অক্টোবর রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় মারধর ও যৌতুকের অভিযোগে বাদী হয়ে সাবেক স্বামী পারভেজ সানজারির নামে মামলা করেন মিলা। মামলার পরই সানজারিকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

মিলার করা মামলায় বলা হয়, বিয়ের পর পর্যায়ক্রমে কয়েকবার এ ধরনের মারধরের ঘটনা ঘটেছে। সর্বশেষ ওই বছরের ৩ অক্টোবর তাকে মারধর করা হয়। এর আগে তার স্বামী সানজারি পাঁচ লাখ টাকা যৌতুক নিয়েছেন।

মামলায় আরও বলা হয়, যৌতুক নেয়ার পর সানজারি আরও ১০ লাখ টাকা দাবি করেন। টাকা না পেয়ে তার স্বামী তাকে মারধরও করেছেন। একটি বেসরকারি এয়ারলাইন্সের পাইলট পারভেজ সানজারির সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে মিলার প্রেমের সম্পর্কের পর ২০১৭ সালের ১২ মে তারা বিয়ে করেন।

বিয়ের মাত্র ১৩ দিন পরই তাদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ শুরু হয়। সেই জেরে বিচ্ছেদও হয় তাদের।

বিচ্ছেদের পরও মিলা তার স্বামীর নামে বিভিন্ন সময় অভিযোগ আনেন। মিলার স্বামীও পাল্টা মামলা করেন মিলার নামে। কয়দিন আগে সানজারির পরিবার দাবি করে, সানজারির ওপর এসিড নিক্ষেপ করেছেন মিলা। এসিড হামলার প্রতিবাদে মিলার শাস্তি দাবি করে একটি সংগঠনের ব্যানারে মানববন্ধনও করে পারভেজ সানজারির পরিবার।

জেএ/এনডিএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।