ডেঙ্গু নিধনে ওষুধ কেন কাজ করছে না, তদন্তের নির্দেশ
ঢাকা সিটি কর্পোরেশনে ডেঙ্গু মশা নিধনে ওষুধ কেন কাজ করছে না এবং যারা এ ওষুধ আমদানি করছেন তা ভোজাল কি না, এর সঙ্গে কারা জড়িত তা তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
একইসঙ্গে মশা নিধনে অকার্যকর ওষুধ আমদানি ও সরবরাহে জড়িতদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি তদন্ত করতে নির্দেশ দেন আদালত।
বিষয়টি তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিয়ে ২০ আগস্টের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে হবে সিটি কর্পোরেশনকে।
এছাড়াও মশা নিধনে কার্যকর ওষুধ আনা এবং তা ছিটানোর জন্য অতিদ্রুত পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এতে প্রয়োজনে সরকারের সহায়তা নিতে হবে।
জনস্বার্থে দায়ের করা এক রিট আবেদনের শুনানিতে বুধবার হাইকোর্টের বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। সিটি কর্পোরেশনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট ড. নুরুন্নাহার নুপুর।
আদেশের পরে মনজিল মোরসেদ বলেন, সিটি কর্পোরেশন মশা নিয়ন্ত্রণে যে ব্যবস্থা নিচ্ছে সেটা অকার্যকর। মিডিয়ায় রিপোর্ট এসেছে এই যে ওষুধগুলো দেয়া হচ্ছে, সে ওষুধগুলোর মধ্যে কার্যকারিতা নেই। তারপরও সে ওষুধগুলো তারা দিচ্ছে। এখানে ২০/২২ কোটি টাকার অর্থনৈতিক সংশ্লিষ্টতা আছে। এগুলো দুর্নীতির মাধ্যমে নেয়া হচ্ছে। যারা এ কাজগুলো করছে তাদের বিরুদ্ধে সিটি কর্পোরশেন কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
‘আরেকটা রিপোর্ট এসেছে সিটি কর্পোরেশন বলছে-নতুন ওষুধ এনে কার্যকরি করতে ৬ মাস লাগবে। আমি বলেছি, জনগণের প্রয়োজনে টেন্ডার এবং আইন-কানুনের বাইরে দ্রুত ওষুধগুলো এনে ব্যবহার করে জনগণের জীবনরক্ষার জন্য পদক্ষেপ নিতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, এরপর আদালত দুটি নির্দেশনা দিয়েছেন। এক. এ অকার্যকর ওষুধ যারা এনেছেন, যারা সরবরাহ করেছেন এর সঙ্গে যারা জড়িত এটি একটি দুর্নীতি। সিটি কর্পোরেশন এ দুর্নীতি তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে। এ নির্দেশনা কার্যকর করে ২০ আগস্টের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দিতে হবে।
দুই. সিটি কর্পোরেশন যেটা চিন্তা করছে ভালো ওষুধ আনবে-সে ব্যাপারে বলেছেন এটা অতিদ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে, সরকার সহায়তা নিয়ে কার্যকর ওষুধ এনে তা ছিটানোর ব্যবস্থা করতে হবে।
এফএইচ/জেএইচ/এমকেএইচ