এফআর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ড : রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যানের জামিন
বনানীর এফআর টাওয়ারের নকশা জালিয়াতির ঘটনায় দায়ের করা মামলায় রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান কে এ এম হারুনকে ছয় সপ্তাহের জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
একই সঙ্গে মামলার অপর দুই আসামি সাবেক ইমারত পরিদর্শক মো. আওরঙ্গজেব সিদ্দিকী ও সহকারী অথরাইজড অফিসার মো. নজরুল ইসলামকে আগামী ছয় সপ্তাহের মধ্যে ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন।
মঙ্গলবার এ-সংক্রান্ত জামিন আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলম সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে এ আদেশ দেন।
উল্লেখ্য, গত ২৬ জুন নকশা জালিয়াতির মাধ্যমে অবৈধভাবে এফআর টাওয়ার ১৬ থেকে ২৩তলা ভবন নির্মাণের অভিযোগে মালিক, রাজউকের সাবেক দুই চেয়ারম্যানসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের উপপরিচালক আবু বকর সিদ্দিক বাদী হয়ে এ মামলাটি করেন।
এক মামলার আসামিরা হলেন- এফআর টাওয়ারের মালিক এস এম এইচ আই ফারুক, কাসেম ড্রাইসেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তাসভীর-উল-ইসলাম, রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান কে এ এম হারুন, সাবেক সদস্য মো. রেজাউল করিম তরফদার, ভবননির্মাতা প্রতিষ্ঠান রূপায়ন গ্রুপের কর্ণধার লিয়াকত আলী খান মুকুল, রাজউকের সাবেক পরিচালক মো. শামসুল আলম, তত্ত্বাবধায়ক মো. মোফাজ্জল হোসেন, সহকারী পরিচালক শাহ মো. সদরুল আলম, সাবেক প্রধান ইমারত পরিদর্শক মো. মাহবুব হোসেন সরকার, সাবেক ইমারত পরিদর্শক মো. আওরঙ্গজেব সিদ্দিকী, সহকারী অথরাইজড অফিসার মো. নজরুল ইসলাম, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক জাহানারা বেগম, সহকারী পরিচালক মেহেদউজ্জামান, নিম্নমান সহকারী মুহাম্মদ মজিবুর রহমান মোল্লা, অফিস সহকারী মো. এনামুল হক ও বিসিএসআইআর সদস্য (অর্থ) মুহাম্মদ শওকত আলী, সংসদ সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব আ ই ম গোলাম কিবরিয়া, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব আবদুল্লাহ আল বাকি, গণপূর্ত অধিদফতরের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী সৈয়দ নাজমুল হুদা এবং নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সামছুর রহমান।
মামলায় ভুয়া ছাড়পত্রের মাধ্যমে এফআর টাওয়ারের ১৯তলা থেকে ২৩তলা নির্মাণ, বন্ধক প্রদান ও বিক্রির অভিযোগে দণ্ডবিধির সাতটি ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ১৯৪৭- এর ৫(২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়।
গত ২৮ মার্চ দুপুরে বনানীর এফআর টাওয়ারে আগুন লাগে। এতে ২৭ জন মারা যান, আহত হন ৭৩ জন।
এফএইচ/বিএ/জেআইএম