অর্থ আত্মসাতে আজিজ কো-অপারেটিভ ব্যাংকের চেয়ারম্যান রিমান্ডে
অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে করা মামলায় আজিজ কো-অপারেটিভ কমার্স অ্যান্ড ফাইন্যান্স ব্যাংকের চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলামের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) তাকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। এ সময় তার বিরুদ্ধে রাজধানীর বংশাল থানায় অর্থ আত্মসাতের করা মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম মিল্লাত হোসেন দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
বংশাল থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক হেলাল উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে তাকে ধানমন্ডি থেকে গ্রেফতার করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইমের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) শারমিন জাহান বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) জাগো নিউজকে বলেন, ‘প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে ১৬ লাখ টাকা অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে বংশাল থানায় আজিজ কো-অপারেটিভ কমার্স অ্যান্ড ফাইন্যান্স ব্যাংকের চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়। প্রাথমিকভাবে অর্থ আত্মসাতের প্রমাণ মেলায় ধানমন্ডি থেকে আজ তাজুল ইসলামকে গ্রেফতার করে সিআইডির একটি দল।’
অর্থ আত্মসাতের একই মামলার অপর আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এ ব্যাপারে পরে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানানো হবে।’
উল্লেখ্য, সুফিয়া আক্তার নামে এক নারী ভুক্তভোগী অর্থ আত্মসাৎ ও প্রাণনাশের হুমকি প্রদানের অভিযোগে বংশাল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় আসামিরা হলেন- আজিজ কো-অপারেটিভ কমার্স অ্যান্ড ফাইন্যান্স ব্যাংক লিমিটেডের চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম (৬২), ব্রাঞ্চ কন্ট্রোলার ও ব্যবস্থাপক লাকী খাতুন (৩২), শাখা ব্যবস্থাপক দ্বীন মোহাম্মদ (৪২), নবাবপুর শাখা ব্যবস্থাপক ইকবাল হোসেন (৩৫) এবং উপদেষ্টা মো. নুরুন্নবী (৬৫)।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, ২০১০ সালের ২০ অক্টোবর থেকে আজিজ কো-অপারেটিভ কমার্স অ্যান্ড ফাইন্যান্স ব্যাংক লিমিটেডের নবাবপুর শাখা অফিসে বিভিন্ন মেয়াদে সুফিয়া আক্তার ১৬ লাখ ৬৩ হাজার ৩৩৫ টাকা জমা রাখেন।
সুফিয়া আক্তার একাধিকবার টাকা উত্তোলনের জন্য গেলেও টাকা পাননি। নবাবপুর শাখা ব্যবস্থাপক ইকবাল হোসেন সুফিয়া আক্তারকে টাকা নেই জানিযে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করতে অনুরোধ করেন।
পরে ব্যাংকের বর্তমান চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম ও ব্রাঞ্চ ব্যবস্থাপক লাকী খাতুনের সঙ্গে যোগাযোগ করলে আশ্বাস দিয়ে সময়ক্ষেপণ করতে থাকেন তারা।
শাখা ব্যবস্থাপক দ্বীন মোহাম্মদ ও উপদেষ্টা নুরুন্নবীর সঙ্গে যোগাযোগ করেও টাকা পাননি তিনি। উল্টো গত ৬ মার্চ মামলার আসামিরা সুফিয়া আক্তারকে প্রাণনাশের হুমকি দেন এবং টাকা ফেরত দেবে না বলে জানান।
জেএ/এনডিএস/পিআর