এনামুল বাছিরের জন্য দুদকের বরাদ্দ পদ থাকছে না
পুলিশ বাহিনী থেকে বরখাস্ত উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানের কাছ থেকে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরের জন্য মহাপরিচালক পদ শূন্য রাখার আদেশ প্রত্যাহার করে নিয়েছেন হাইকোর্ট। কমিশনের তথ্য পাচার ও শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়।
ফলে, এনামুল বাছিরের জন্য শূন্য পদটি আর তার জন্য থাকছে না বলে জানিয়েছেন দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান। এ পদে নিয়োগ দিতে আর কোনো বাধা নেই বলেও জানান তিনি। আদালত দুদকের আইনজীবীকে জিজ্ঞেস করেন, ‘তদন্ত কবে শেষ হবে?’ জবাবে তিনি বলেছেন, একমাসের মতো সময় লাগতে পারে। এরপর আদালত রুল শুনানির জন্য ২৫ আগস্ট দিন ঠিক করেন।
দুদকের করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও মোহাম্মদ আলীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে আজ দুদকের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান। খন্দকার এনামুল বাছিরের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ কামাল হোসেন।
এর আগে গত ২৯ জানুয়ারি এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এনামুল বাছিরের জন্য দুদকের মহাপরিচালক পদ খালি রাখার আদেশ দেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে রুল জারি করেন আদালত। আজ ওই রুলের ওপর শুনানির জন্য বলেছেন হাইকোর্ট।
আদেশের পর খুরশীদ আলম খান বলেন, ‘২ জানুয়ারি তার এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট রুল জারি করেন। পরে ২৯ জানুয়ারি আদালত একটি মহাপরিচালক পদ খালি রাখতে নির্দেশ দেন। এর মধ্যে ঘুষ নেয়ার অভিযোগে এই কর্মকর্তা সাসপেন্ড হয়েছেন। সেই ঘটনার এখন তদন্ত চলছে।’
বাছিরের আইনজীবী কামাল হোসেন বলেন, ‘মহাপরিচালক পদে নিয়োগে দুদকের নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করে গত জানুয়ারিতে রিট করেন এনামুল বাছির। আদালত তখন রুল দেন, কেন তাকে প্রমোশন দেয়া হবে না। পরে অন্তর্র্বর্তীকালীন আদেশ দেন যে, দুদকের আটটি মহাপরিচালক পদের মধ্যে একটি তার জন্য খালি রাখতে। আজকে রুলটা শুনানির জন্য ধার্য ছিল। যেহেতু ইতোমধ্যে তিনি সাসপেন্ড হয়েছেন। সে কারণে তার জন্য পদ খালি রাখার আদেশ ভ্যাকেট (তুলে নেয়া হলো) করা হলো। রুলটি পরবর্তীতে শুনানি হবে ওনার বিভাগীয় তদন্তের পর। যদি উনি তদন্তে জেতেন তাহলে রুল শুনানি হবে। আর তিনি যদি ডিসমিসড (চাকরিচ্যুত) হন তাহলে রুলটা অকার্যকর হবে।’
এফএইচ/এসআর/এমকেএইচ