ওসি মোয়াজ্জেমের জামিন আবেদন খারিজ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩:৪১ পিএম, ০৯ জুলাই ২০১৯

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় ফেনীর সোনাগাজী থানার সাবেক ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনের জামিন আবেদন উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। এর ফলে এ মামলার তার জামিন মিললো না বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

মঙ্গলবার হাইকোর্টের বিচারপতি মো. মঈনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। 

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। অন্যদিকে মোয়াজ্জেমের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মো. আহসান উল্লাহ ও সালমা সুলতানা। এছাড়াও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলার বাদী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মো. আব্বাস উদ্দিন।

এর আগে গত সোমবার (১ জুলাই) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চে উপস্থাপন করার পরের দিন ২ জুলাই জামিন শুনানির অনুমতি দিয়ে এ বিষয়ে শুনানির জন্য রোববার দিন ঠিক করেন। রোববার জামিনের শুনানি নট টুডে (আজ নয়) বলে মঙ্গলবার (৯ জুলাই) দিন ঠিক করা হয়।

সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল গাজী মামুনুর রশিদ জানান, গত সোমবার (১ জুলাই) ওসি মোয়াজ্জেমের জামিন আবেদন নিয়ে তার আইনজীবীরা আদালতে এসেছিলেন। রাষ্ট্রপক্ষের আপত্তির কারণে আদালত জামিন আবেদনের অনুমতি দেননি। তবে পরদিন মঙ্গলবার (২ জুলাই) জামিনের বিষয়ে করা আবেদনের ওপর শুনানির জন্য গ্রহণ করেন আদালত।

এর আগে গত ১৭ জুন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় গ্রেফতার ফেনীর সোনাগাজী থানার সাবেক ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনের জামিন আবেদন নাকচ (খারিজ) করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।

ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ আস শামস জগলুল হোসেনের আদালত এ আদেশ দেন। সেখানে জামিন আবেদ করে ব্যর্থ হওয়ার পর ওসি মোয়াজ্জেম হাইকোর্টে জামিন আবেদনের জন্য আসেন।

গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির ২০ দিনের মাথায় গত ১৬ জুন মোয়াজ্জেম হোসেনকে হাইকোর্ট এলাকা থেকে গ্রেফতার করে শাহবাগ থানা পুলিশ।

ফেনীর মাদরাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে তার মা শিরীন আক্তার বাদী হয়ে গত ২৭ মার্চ সোনাগাজী থানায় সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার বিরুদ্ধে মামলা করেন। এরপর অধ্যক্ষকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের নামে থানায় ডেকে নিয়ে নুসরাতের বক্তব্য ভিডিও করেন ওসি মোয়াজ্জেম। পরে সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়েও দেন তিনি।

ভিডিও করে তা ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়ার অভিযোগে ওসি মোয়াজ্জেমের বিরুদ্ধে ১৫ এপ্রিল ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।

বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ ও মামলার নথি পর্যালোচনা করে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক জগলুল হোসেন ২৭ মে ওসি মোয়াজ্জেমের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। পরে তাকে গ্রেফতার করে আদালতে উপস্থাপন করা হয়। এরপর থেকে তিনি কারাগারে।

এফএইচ/জেএইচ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।