মাদক মামলায় ট্রাইব্যুনাল গঠন না করায় ব্যাখ্যা চেয়েছেন হাইকোর্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪:৩৩ এএম, ০৯ জুলাই ২০১৯

নিয়ম অনুযায়ী মাদকের মামলা নিষ্পত্তি করার জন্য বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন না করায় আইন সচিব ও স্বরাষ্ট্র সচিবের ব্যাখ্যা চেয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী ২৪ জুলাইয়ের মধ্যে এ বিষয়ে লিখিত ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে দুই মন্ত্রণালয়ের সচিবকে।

সঙ্গে সঙ্গে এখতিয়ারের বাইরে মাদক মামলার আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করায় ঢাকার যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ আদালত-৩ (তৃতীয়) এর বিচারকের কাছেও এ বিষয়ে ব্যাখ্যা চেয়েছেন আদালত।

মাদকের মামলায় এক আসামির জামিন শুনানির সময় সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

আদালতে আজ আসামির জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী আল ফয়সাল সিদ্দিকী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নুসরাত জাহান।

জানা গেছে, ১৯৯০ সালে করা মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন গত বছর সংশোধন করা হয়। তাতে বলা হয়, মাদকের মামলা নিষ্পত্তি করতে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে হবে।

জানা গেছে, ২০১৮ সালের ২৭ ডিসেম্বর ইয়াবা ও হেরোইনসহ পুলিশের হাতে আটক হন মাসুদুল হক মাসুদ নামে এক ব্যক্তি। চলতি বছরের ২২ জানুয়ারি ইয়াবা ও হেরোইন রাখার অভিযোগে রাজধানীর বংশাল থানায় মাসুদুল হক মাসুদ নামে একজনকে আসামি করে মামলাও দায়ের করেন পুলিশ। ওইদিন তাকে গ্রেফতারের পর বংশাল থানায় করা এই মামলায় একই দিনে (২২ জানুয়ারি) তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।

এরপরে বিচারিক আদালতে করা জামিনের আবেদন নামঞ্জুর হলে তিনি হাইকোর্টে জামিনের বিষয়ে আবেদন করেন। জামিন শুনানিতে আদালত দেখতে পান, যে আদালতে এই মামলাটি বিচারাধীন সেই আদালতের এই মামলার বিচার করার এখতিয়ার নেই।

কিন্তু মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ৪৪ (১) ধারায় বলা হয়েছে, এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, প্রয়োজনীয় সংখ্যক মাদকদ্রব্য অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনাল স্থাপন করতে পারবে।

(৪) উপ-ধারায় বলা হয়েছে, এই ধারার অধীন ট্রাইব্যুনাল স্থাপিত না হওয়া পর্যন্ত, সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, সংশ্লিষ্ট জেলার যে কোনো অতিরিক্ত জেলা জজ বা দায়রা জজকে তার নিজ দায়িত্বের অতিরিক্ত ট্রাইব্যুনালের দায়িত্ব প্রদান করতে পারবে। কিন্তু এই আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে মামলাটি বিচারের জন্য তৃতীয় মহানগর দায়রা জজ আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে আদালতকে জানান আসামির আইনজীবী অ্যাডভোকেট আল ফয়সাল সিদ্দিকী।

পরে আদালত আসামি মাসুদকে জামিন দেন এবং মাদকের মামলার জন্য বিশেষ ট্রাইব্যুনাল না করায় দুই সচিবের লিখিত ব্যখ্যা দাখিলের নির্দেশ দেন।

এফএইচ/এমআরএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।