পরকীয়ায় সাজা, ৪৯৭ ধারা কেন অবৈধ নয় : হাইকোর্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১২:৪৪ পিএম, ০৮ জুলাই ২০১৯

পরকীয়া করার অপরাধে সাজা সংক্রান্ত দণ্ডবিধির ৪৯৭ ধারা কেন অবৈধ এবং অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

সংশ্লিষ্ট বিবাদীদের আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

এ সংক্রান্ত এক রিটের শুনানি নিয়ে সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও বিচারপতি ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই রুল জারি করেন।

আরও পড়ুন>> কেন পরকীয়া সম্পর্ক দিন দিন বাড়ছে?

আদালতে আজ রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার অনিক আর হক ও অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী জিনাত হক।

গত ১১ ফেব্রুয়ারি এ রিটটি করেন অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান।

রিটে ৪৯৭ ধারা কেন অসাংবিধানিক ও বাতিল ঘোষণা করা হবে না, এই মর্মে রুল জারির আর্জি জানানো হয়। এ ছাড়া রিটে ৪৯৭ ধারা সংশোধনের নির্দেশনার আবেদনও করা হয়।

আরও পড়ুন>> ৪০ দিনের সন্তান রেখে দেবরের সঙ্গে উধাও

অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান রিট সম্পর্কে বলেন, দণ্ডবিধির ৪৯৭ ধারা অনুযায়ী, কোনো স্ত্রী পরকীয়া করলে, যার সঙ্গে পরকীয়া করবে, শুধু সেই ব্যক্তির বিরুদ্ধে শাস্তির বিধান রয়েছে। অথচ স্ত্রীর বিরুদ্ধে স্বামীর কিছুই করার নেই। একইভাবে স্বামী পরকীয়া করলে, স্ত্রী স্বামীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারবেন। কিন্তু যার সঙ্গে স্বামী পরকীয়ায় জড়িত, তার বিরুদ্ধে কোনো প্রতিকার পাবেন না।

স্বামী যদি কোনো বিধবা বা অবিবাহিত নারীর সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন এবং স্ত্রী যদি স্বামীর অনুমতি সাপেক্ষে পরকীয়ায় জড়িত হন, তা এই আইনে বৈধ।

অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান বলেন, এই আইন সংবিধানের ২৭, ২৮ ও ৩২ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক এবং এটা অদ্ভূত ও বৈষম্যমূলক।

রিটে আইন মন্ত্রণালয়ের আইন সচিব ও লেজিসলেটিভ ও ড্রাফটিং বিভাগের সচিবকে বিবাদী করা হয়।

এফএইচ/জেডএ/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।