এবার গলা পানিতে নেমে ব্যারিস্টার সুমনের ফেসবুক লাইভ
হবিগঞ্জের মাদবপুর উপজেলার জগদীশপুর ইউনিয়নের বাসুরা গ্রামে নদী পারাপারের জন্য শুরু হওয়া ব্রিজের কাজ ১২ বছরেও শেষ হয়নি। ব্রিজটির কাজ ১২ বছর ধরে বন্ধ রয়েছে। একটি ব্রিজের জন্য ৮টি পিলার তৈরি করার পর কোন কারণে নির্মাণ কাজ শেষ হয়নি তা নিয়ে ফেসবুকে লাইভে এসে প্রশ্ন তুলেছেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।
শনিবার (২৯ জুন) দুপুরে লাইভে আসেন সুমন। ব্রিজটি সম্পর্কে বলতে গিয়ে গলা পানিতে নেমে পড়েছেন এই ব্যারিস্টার। তার কাঁধে লাল গামছা জড়ানো ও পরনে লুঙ্গি। তিনি বলেন, ‘আমরা সবাই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলা গড়ার জন্য কাজ করছি। কিন্তু একটি ব্রিজের কাজ ১২ বছর আগে ধরে এখনো পর্যন্ত শেষ হচ্ছে না। এটা যদি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানেন তিনিও কষ্ট পাবেন।’ এ সময় শুধু পিলারের অর্ধেক ব্রিজ নিয়ে তিনি যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণও করেন।
ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর। তিনি সমাজ ও জনগণের বিভিন্ন অসঙ্গতি তুলে ধরে বিভিন্ন সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে লাইভ প্রচার করেন। এবার লাইভে এসে ব্রিজটি সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, মাধবপুর উপজেলার বসুরা নামক একটি গ্রাম। জগদীশপুর ইউনিয়নে এত বড় অন্যায়ের সাক্ষী হওয়ার জন্য মাটিতে না দাঁড়াইয়া পানিতে দাঁড়িয়ে লাইভ দিচ্ছি। এ সময় একটা ব্রিজের কাজ ১২ বছর ধরে সমাপ্ত না হওয়ায় বিষয়টি গ্রামের ১৪ থেকে ১৫ হাজার লোক এবং যথাযথ কর্তৃপক্ষের নজরে এসেছে কি-না তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ব্যারিস্টার। লাইভের একপর্যায়ে নদীর ওপরে উঠে এসে ব্রিজটি সম্পর্কে স্থানীয় কয়েকজনের মন্তব্য নেন।
পানিতে নেমে লাইভ করার বিষয়ে ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন জাগো নিউজকে বলেন, ‘দুদক যদি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা স্কুলে ঠিকমতো লেখাপড়া করাচ্ছেন কিনা ধরতে পারেন, তাহলে ১২ বছর ধরে যারা ব্রিজটির কাজ বন্ধ রেখে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করছেন তাদেরকে কেন দুদক ধরতে পারবে না?’ আমি বিষয়টি দুদকসহ সংশ্লিষ্টদের নজরে আনার চেষ্টা করেছি যেন জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়।’
তিনি বলেন, ‘ওসি মোয়াজ্জেম এবং ডিআইজি মিজানসহ বড় বড় অপরাধীরা ধরা পড়লেও এসব অপরাধীরা ধরা পড়ছে না। ইঞ্জিনিয়ার বা কন্ট্রাক্টর ছাড়াও যদি আরও কেউ জড়িত থাকেন তাদেরকে ধরে শাস্তির ব্যবস্থা করলে দেশে দু-একটি নজির হতো।’
এফএইচ/এসআর/জেআইএম