তিতাসে নিয়োগ বাণিজ্য না-কি রাজাকারের প্রভাব, প্রশ্ন হাইকোর্টের

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০১:০৪ পিএম, ২৫ জুন ২০১৯

নিয়োগে মুক্তিযোদ্ধা কোটা ৩০ শতাংশ সংরক্ষণ না করার দায়ে তিতাসের এমডিসহ সংশ্লিষ্ট তিনজনকে তলব করেছেন হাইকোর্ট। এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে আগামী ২ জুলাই তাদের হাইকোর্টে উপস্থিত হতে বলা হয়েছে। যাদের হাজির হতে বলা হয়েছে তারা হলেন- তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি), মহাব্যবস্থাপক (জিএম) ও উপ মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম)।

এ সংক্রান্ত এক রিটের সম্পূরক আবেদনের শুনানিতে মঙ্গলবার হাইকোর্টের বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

আদালতে আজ রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার এবিএম আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।

রিটের শুনানিতে আদালত তিতাস কতৃপক্ষের উদ্দেশে প্রশ্ন তোলেন- বিজ্ঞপ্তিতে থাকে ৭৯ জন আর নিয়োগ দেন ৮০ জনকে। এখানে কি রাজাকারের প্রভাব কাজ করছে? না-কি নিয়োগ বাণিজ্য হচ্ছে? জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান মুক্তিযোদ্ধাদের কেন আপনারা মূল্যায়ন করবেন না?

এর আগে ২০১৭ সালের ১৮ ডিসেম্বর তিতাস গ্যাসে ৭৯ জন কর্মকর্তা নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। এরপর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কোটায় নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নিলেও চূড়ান্ত ফলাফলে তাদের বাদ দেয়া হয়। পরে কোটা অনুসরণ করে নিয়োগ দেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে মো. রেজাউল করিমসহ ৮ জন ২০১৮ সালের ২০ নভেম্বর রিট দায়ের করেন।

ওই রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষকে ৩০ শতাংশ কোটা সংরক্ষণের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। পরে এর মধ্যে ৬৩ জনকে নিয়োগ দেয় তিতাস কর্তৃপক্ষ।

তবে, অবশিষ্টদের নিয়োগ না দিয়ে গত ২ এপ্রিল ১৭ জনকে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করলে রিট আবেদকারীরা হাইকোর্টে সম্পূরক আবেদন করেন। যার ধারাবাহিকতায় তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষের তিন শীর্ষ কর্মকর্তাকে তলব করলেন হাইকোর্ট।

এফএইচ/এসআর/এনএফ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।