দণ্ডপ্রাপ্ত খালেদার নিম্ন আদালতের নথি হাইকোর্টে

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯:২৯ পিএম, ২০ জুন ২০১৯
ফাইল ছবি

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের অর্থ আত্মসাতের দুর্নীতির মামলায় কারাদণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার রায়ের নথি ও নিম্ন (লোয়ার কোর্ট) আদালতের রেকর্ড (এলসিআর) বিচারিক আদালত থেকে হাইকোর্টে পাঠানো হয়েছে। বিচারিক আদালতের কাগজপত্রে ৩৯৩ পৃষ্ঠার রায়সহ মোট ৪ হাজার ৪৪ পৃষ্ঠার নথিপত্র রয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২০ জুন) বিকেলে এসব নথি নিয়ে ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ আদালত থেকে পুলিশ পাহারায় পেশকার মো. মোকারম হোসেন হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় পৌঁছে দেন। সুপ্রিম কোর্টের একটি সূত্র জাগো নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে গত ৩০ এপ্রিল হাইকোর্টের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ নথি তলব করে আদেশ দিয়েছিলেন। এছাড়া জামিন চেয়ে খালেদা জিয়ার করা আবেদন নথিভুক্ত করেন আদালত।

শুনানিকালে আদালত খালেদার আইনজীবীদের উদ্দেশে বলেন, অন্য একটি মামলায় বিচারিক আদালতের রায়ে তার (খালেদা জিয়ার) পাঁচ বছরের সাজা হয়েছিল। উচ্চ আদালতে এ সাজা বেড়েছে। ওই মামলায় জামিন না হলে তিনি মুক্তি পাবেন না। বিষয়টি জরুরি দেখছি না। নথি আসুক, তখন জামিনের আবেদনটি দেখা হবে।

আদালতে ওইদিন খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী জয়নুল আবেদীন ও মাহবুবউদ্দিন খোকন। এছাড়া রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও দুদকের পক্ষে আইনজীবী খুরশীদ আলম খান উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে ২৩ এপ্রিল বিষয়টি আদালতে উপস্থাপন করলে হাইকোর্টের একই বেঞ্চ ৩০ এপ্রিল আপিলের গ্রহণযোগ্যতার ওপর শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন। এর ধারাবাহিকতায় ওইদিন বিষয়টি শুনানি করা হয়।

২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর ওই মামলায় রায় ঘোষণা করেন পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের পরিত্যক্ত কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক। রায়ে ওই মামলায় খালেদা জিয়া ছাড়া অপর তিন আসামিকেও সাত বছর করে কারাদণ্ড দেন। এছাড়া প্রত্যেককে ১০ লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। খালেদা জিয়াকেও ১০ লাখ টাকা জরিমানা এবং ট্রাস্টের নামে কেনা কাকরাইলের ৪২ কাঠা জমি রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দেওয়া হয়।

ওই রায়ে ক্ষুব্ধ হয়ে খালেদা জিয়া হাইকোর্টে দণ্ড থেকে খালাস চেয়ে আপিল করলে গত ৩০ এপ্রিল হাইকোর্ট ওই আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন এবং নিম্ন আদালতের নথি তলব করে দুই মাসের মধ্যে হাইকোর্টে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় এ মামলা করা হয়। এ ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগে দুদক এ মামলা করে।

উল্লেখ্য, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতি, হত্যা, নাশকতা, রাষ্ট্রদ্রোহ, মানহানি, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতিসহ ৩০টিরও বেশি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট ও জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় রায় হয়েছে।

দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত হয়ে গত বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি খালেদা জিয়া। বর্তমানে অসুস্থতাজনিত কারণে কারা হেফাজতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন।

এফএইচ/আরএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।