বীরাঙ্গনাসহ ৩৪ জনকে হত্যা : ১১ জনের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন তৈরি
একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত হত্যা, গণহত্যা, অগ্নি সংযোগ, নির্যাতন ও ধর্ষণসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সুনামগঞ্জের ১১ জনের বিরুদ্ধে ৪টি অভিযোগে তদন্ত প্রতিবেদন প্রস্তুত করা হয়েছে।
আসামিদের বিরুদ্ধে ২০১৬ সালের ২১ মার্চ তদন্ত শুরু করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। শিগগিরই এ প্রতিবেদন ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন শাখায় দাখিল করা হবে।
সোমবার দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে তদন্ত সংস্থার প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থার প্রধান সমন্বয়ক আবদুল হাননান খান এ তথ্য জানান। এটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যাুনালের ৭১তম সংবাদ সম্মেলন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ১১ জনের বিরুদ্ধে ৪টি অভিযোগে ৩ ভলিয়মে ১৫০ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন প্রস্তুত করা হয়েছে। আসামিদের বিরুদ্ধে মোট ৪টি অভিযোগে ৫ বীরাঙ্গনাসহ ৩৪ জনকে হত্যা, ৩০টি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়া, ৩১ জনকে অপহরণ ও ১৪ জনের ওপর অমানবিক নির্যাতনের তথ্য প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।
মামলায় মোট ১১ আসামির মধ্যে ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতার ছয়জন হলেন, মো. সিদ্দিকুর রহমান (৬১) মোহাম্মদ জুবায়ের মনির (৬২), মো. জাকির হোসেন (৬২) মো. তোতা মিয়া টেইলার (৮১), মো. আব্দুল জলিল (৭১) ও মো. আব্দুর রশিদ (৬০)।
বাকি ৫ জন আসামি এখনও পলাতক।
২০১৬ সালের ২১ মার্চ এ মামলার তদন্ত শুরু করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা নূর মোহাম্মদ। এরপর চলতি জুন মাসের ১৭ জুন তদন্ত সম্পন্ন করা হয়।
এ মামলার আইওসহ মোট ৩৩ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।
তদন্ত সংস্থার জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা এম. সানাউল হক বলেন, একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় নিরীহ-নিরস্ত্র বাঙালিকে হত্যা, গণহত্যা চালিয়েছিলেন আসামিরা।
এফএইচ/জেডএ/পিআর