পণ্যের মান পরীক্ষায় লেনদেনের তথ্য পেলে সরাসরি জেলে

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪:২৩ পিএম, ১৬ জুন ২০১৯

বাজারে কোনো পণ্যের মান নিয়ে বিএসটিআইয়ের টেস্টিং ও রিটেস্টিংয়ে যদি লেনদেনের তথ্য পাওয়া যায় তাহলে জড়িতদের সরাসরি জেলে পাঠানো হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন হাইকোর্ট।

আদালত বলেন, ‘আমরা জেনেছি, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পণ্যের মান পরীক্ষার সময় ডিমান্ড নিয়ে আলোচনা হয়। এ রকম অভিযোগ আছে যে, টেস্ট-রিটেস্টের আগে লেনদেনও হয়। এ রকম খবর পেলে দুদকে না পাঠিয়ে সরাসরি জেলে পাঠিয়ে দেব।’

৪০৬টি মানহীন পণ্যের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলে দায়ের করা রিটের শুনানিতে রোববার হাইকোর্টের বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ বিএসটিআইকে সতর্ক করে এমন হুঁশিয়ারি দেন।

এ সময় আদালত আরও বলেন, ‘কোর্টের আদেশের কারণে রেট বেড়ে গেছে। তাহলে দেখা যাচ্ছে কোর্ট দুর্নীতিতে হেল্প করছে।’

এরপর ভোক্তাদের জরুরি সেবা দিতে আগামী দুই মাসের মধ্যে একটি হটলাইন চালু করতে ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদফতরকে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।

আদালতে বিএসটিআইয়ের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সরকার এম আর হাসান। নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানের পক্ষে ছিলেন কামাল উল আলম, এম আমিনুদ্দিন এবং মোহাম্মদ ফরিদুল আলম। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের পক্ষে ছিলেন কামরুজ্জামান কচি।

আদালত বলেন, ‘হটলাইন চালুর আগ পর্যন্ত ভোক্তা অধিকার সংক্ষরণ অধিদফতরের একটি নম্বর (০১৭৭৭৭৫৩৬৬৮), প্রধানমন্ত্রীর দফতরের ৩৩৩ এবং জাতীয় হটলাইন ৯৯৯ এর মাধ্যমে ভোক্তাদের সপ্তাহের প্রতিদিন (ছুটির দিনসহ) ২৪ ঘণ্টা জরুরি সেবা দিতে হবে।’

আদালত বলেন, ‘ওই দুটি নম্বর যেন ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকে। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের নম্বরটিও ছুটির দিনসহ ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখতে হবে। বিষয়টি ভোক্তাদের জানানোর জন্য ব্যবস্থা নিতে হবে।’

বিএসটিআইর মানের পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ বিভিন্ন কোম্পানির খাদ্যপণ্য বাজেয়াপ্ত বা তুলে নিয়ে ধ্বংস করার নির্দেশনা বাস্তবায়ন না করায় নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মাহফুজুল হককে তলব করেছিলেন হাইকোর্ট।

গত ২৩ মে রুলও জারি করেন আদালত। রুলে কেন তার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না- তা জানতে চেয়েছিলেন। সে অনুযায়ী মাহফুজুল হক রোববার আদালতে হাজির হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে নিশঃর্ত ক্ষমা চান। আদালত তাকে শর্তসাক্ষেপে আদালত অবমাননার অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দিয়ে সেই রুলের নিষ্পত্তি করে কয়েকটি শর্ত দিয়ে আদেশ দেন।

শর্তগুলো হলো- মাহফুজুল হক আর কখনও আদালতের আদেশ-নির্দেশ লঙ্ঘন করবেন না; বিএসটিআইয়ের পরীক্ষায় যে ৫২টি নিম্নমানের পণ্য ধরা পড়েছে শুধু সেই ৫২টি পণ্য নয়, খাদ্যে ভেজালের বিরুদ্ধে অব্যাহতভাবে অভিযান পরিচালনা করবেন; যেহেতু নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ জনবল সঙ্কটের কথা বলেছে তাই সরকারের অন্যান্য এজেন্সির সহযোগিতা নিয়ে ভেজালবিরোধী অভিযান অব্যাহত রাখবেন তিনি।

এফএইচ/এনডিএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।