উপজেলা নির্বাচন : রিটকারীকে লাখ টাকা জরিমানা হাইকোর্টের

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০১:০৮ পিএম, ০৭ মে ২০১৯

সীমানা জটিলতার অভিযোগ এনে রাজশাহীর পবা উপজেলা পরিষদের নির্বাচন স্থগিত চেয়ে এক ব্যক্তি কয়েকবার রিট করায় তাকে প্রথমে ৫ লাখা জরিমানা করেছিল আদালত। পরে ক্ষমা চাওয়ায় এক লাখ টাকা জরিমানার আদেশ বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট।

এ সংক্রান্ত রিটের শুনানি নিয়ে সোমবার (৬ মে) বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো.খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় দেন।

আদালতে আজ রিটকারীর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী জাফর সাদিক। অন্যপক্ষে ছিলেন অ্যার্টনি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুর্টি অ্যার্টনি জেনারেল মাসুদ হাসান চৌধুরী পরাগ।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ডেপুর্টি অ্যার্টনি জেনারেল মাসুদ হাসান চৌধুরী পরাগ জাগো নিউজকে বলেন, শুনানির সময় আদালত রিটকারীর কাছে জানতে চান আপনি উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে প্রার্থী কি না। জবাবে রিটকারী আদালতে বলেন, জি না। এরপর আদালত তাকে প্রশ্ন করেন তা না হলে নির্বাচনের বিরুদ্ধে কেন আবেদন করেছেন?

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, এরই মধ্যে অপর পক্ষের আইনজীবী আদালতকে জানান উনি (রিটকারী) পারিলা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের আপন বড় ভাই। এ সময় আদালত বলেন, আপনি যদি প্রার্থী হতেন তাহলে একটা কথা ছিল? আপনি অন্যের পারপাস সার্ভ করার জন্য এমন মামলা করছেন। রিটটি নট প্লেস করেন। তখন রিটকারী নটপ্লেস করতে রাজি না হওয়ায় প্রথমে ৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এর পর রিটকারী আদালতের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করলে তাকে এক লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দেয়া হয়।

তিনি জানান, একই সঙ্গে সীমানা জটিলতার অভিযোগ এনে রাজশাহীর পবা উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালে এক রিটে উপর জারি করা রুল খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে, ওই নির্বাচনের ওপর দেয়া স্থগিতাদেশও তুলে নিয়েছেন উচ্চ আদালত।

তিনি আরও বলেন, ২০১৪ সালের চতুর্থ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের পরের বছর উপজেলা চেয়ারম্যানের মৃত্যু হলে নির্বাচন কমিশন (ইসি) উপ-নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে। কিন্তু স্থানীয় বাসিন্দা ফজলুল বারীসহ ৯ জন উপজেলার পারিলা ইউনিয়নের মুরশইল ও কেচুয়াতৈল গ্রামের সীমানা নিয়ে জটিলতা নিয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করায় নির্বাচন স্থগিত হয়ে যায়।

মাসুদ হাসান চৌধুরী পরাগ বলেন, এরপর একই সীমানাতেই ২০১৬ সালে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন এবং ২০১৮ সালে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু তখন বাদীপক্ষ কোনো প্রকার আইনের আশ্রয় নেয়নি। কেবলমাত্র হাইকোর্টে রিট করে স্থগিতাদেশ নিয়ে নির্বাচন আটকে রেখেছেন।

তিনি বলেন, চলতি বছরের শুরুতে ওই উপজেলার জন্য তফসিল ঘোষণা করলে হাইকোর্টের এক আদেশে ইসি নির্বাচন স্থগিত করেন। পরে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মনসুর রহমান রিটে পক্ষভুক্ত হয়ে নির্বাচনের ওপর দেয়া স্থগিতাদেশ তুলে নিতে আবেদন করেন। সোমবার সেই আবেদনের ওপর শুনানি শেষে আদালত স্থগিতাদেশ তুলে রুল খারিজ করে দেন। এখন ওই উপজেলার নির্বাচন হতে কোনো বাধা নেই।

এফএইচ/এমএমজেড/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।