অভিজিৎ হত্যা : মেজর জিয়াসহ দুইজনের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন ১৬ জুন

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:১৮ পিএম, ০৫ মে ২০১৯

ব্লগার ও লেখক অভিজিৎ রায় হত্যা মামলায় পলাতক দুই আসামি মেজর সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল হক ওরফে জিয়া (চাকরিচ্যুত মেজর) ও আকরাম হোসেন ওরফে আবিরের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি সংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১৬ জুন দিন ধার্য করেছেন ট্রাইব্যুনাল।

রোববার ঢাকা সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমান এদিন ধার্য করেন। আজ পলাতক দুই আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতার সংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্ত পুলিশ প্রতিবেদন দাখিল না করায় ট্রাইব্যুনাল প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১৬ জুন দিন ধার্য করেন।

এর আগে গত ১১ এপ্রিল ঢাকা সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমান ছয়জনের বিরুদ্ধে যে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দেয়া হয়েছে তা গ্রহণ করে পলাতক দুইজনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি ও ১৫ জনকে অব্যাহতি প্রদান করেন। গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত দুই আসামি হলেন- মেজর সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল হক ওরফে জিয়া ও আকরাম হোসেন ওরফে আবির।

উল্লেখ্য, ব্লগার ও লেখক অভিজিৎ রায়কে ২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি রাত সোয়া ৯টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পাশে সন্ত্রাসীরা কুপিয়ে জখম করে। আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেয়া হলে রাত সাড়ে ১০টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। পরে ২৭ ফেব্রুয়ারি অভিজিতের বাবা বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অজয় রায় শাহবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

চলতি বছরের ১৩ মার্চ ঢাকা মহানগর হাকিম সরাফুজ্জামান আনসারীর আদালতে ছয়জনের বিরুদ্ধে চার্জশিটটি দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের পরিদর্শক মনিরুল ইসলাম। মামলায় সাক্ষী করা হয়েছে ৩৪ জনকে।

আসামিরা হলেন- মেজর সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল হক ওরফে জিয়া (চাকরিচ্যুত মেজর), মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন (সাংগঠনিক নাম শাহরিয়ার), আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাব, আকরাম হোসেন ওরফে আবির, মো. আরাফাত রহমান ও শফিউর রহমান ফারাবি।

জেএ/বিএ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।