মুজিব কোট খুলে নেওয়ায় তারেক-ফখরুলদের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১১:৩২ এএম, ০৫ মে ২০১৯

মুজিব কোট খুলে নেওয়া ও পাঞ্জাবি ছিঁড়ে দেওয়ার অভিযোগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করা হয়েছে। রোববার (৫ মে) ঢাকা মহানগর হাকিম আবু সুফিয়ান মো. নোমানের আদালতে এ মামলার আবেদন করেন জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এবি সিদ্দিকী।

আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে আদেশ পরে দেবেন বলে জানান।

মামলায় তারেক ছাড়া অপর আসামিরা হলেন- বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু চৌধুরী, খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। এছাড়া অজ্ঞাতনামা আরো পাঁচ জনকে আসামি করা হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার বাদী এবি সিদ্দিকী। মামলার বাদীকে আইনগত সহায়তা করেন আইনজীবী রওশন আরা শিকদার ডেইজী।

মামলার অভিযোগ বাদী বলেন, গত ৩০ এপ্রিল খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে একটি মানহানি মামলার হাজিরা দেওয়ার জন্য সকাল ৭টায় রামপুরা থেকে ঢাকা-মাওয়া রোডের প্রচেষ্টা গাড়িতে রওনা হই। তাঁতীবাজার মোড়ে এসে নেমে পায়ে হেঁটে আদালতের দিকে রওনা হই। আমার পিছন থেকে ৪/৫ জন যুবক পাঞ্জাবি ধরে টেনে গতি রোধ করে পাঞ্জাবি ছিঁড়ে ফেলে এবং আমাকে বলে ‘তোকে পেয়েছি আর ছাড়া যাবে না, কারণ তুই আমাদের মা ও আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে অনেকগুলো মামলা করেছিস। তোর মামলার কারণে আমাদের নেত্রী মুক্তি পাচ্ছে না। তাই তোকে আজ খুন করব। কারণ আমাদের বিএনপির তারেক রহমানের নির্দেশে ঊর্ধ্বতন নেতারা হুকুম দিয়েছে ‘আমাদের বিরুদ্ধে মামলাকারী এ বি সিদ্দিকীকে যেখানে পাবি তাকে আটক করে প্রথমে আমাদের সকল মামলা প্রত্যাহার করে নেওয়ার জন্য বাধ্য করবি।’ এক মাসের জন্য তোকে মুক্ত করে দিলাম। যদি স্বেচ্ছায় মামলা তুলে না নিস তাহলে তোকে মরতে হবে। তোকে তোর সরকারও আমাদের হাত থেকে আর বাঁচাতে পারবে না। তোকে নুসরাতের মতো জ্বলন্ত আগুনে পুড়িয়ে মারবো। যদি বাঁচতে চাস কথাটি মনে রাখিস। তাই তোকে সামনে পেয়েছি আর ছাড়া যাবে না। এখন বল মামলা প্রত্যাহার করবি কি-না?’ আমি জীবনের ভয়ে মামলা প্রত্যাহার করে নেওয়ার কথা স্বীকার করেছি এবং বলেছি যে মামলা প্রত্যাহার করতে হলে মহামান্য আদালতের বিধান অনুযায়ী আইনগতভাবেই করতে হবে এর জন্য সময়ের প্রয়োজন, এই মুহূর্তে বললেই প্রত্যাহার করা যায় না।

তখন ওরা বলে ‘যা তোকে এক মাস সময় দিলাম। এক মাসের মধ্যে আমাদের নেত্রী ও অন্যান্য নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার করে নিবি। তা নাহলে তোকে আবার ধরে এমনভাবে খুন করবো পৃথিবীর কেউ তোকে বাঁচাতে পারবে না।’ ওরা একথা বলে আমার গায়ে থাকা মুজিব কোট খুলে নিয়ে যায় এবং বলে তোর বাবার মার্কা মুজিব কোট খুলে নিয়ে গেলাম। শেখ মুজিবের জুলুমবাজ মুজিব কোট আর আমরা দেখতে চাই না। এই বলে আমার পকেটে থাকা ২২০০ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে আমাকে বলে ‘কোন চিল্লাফাল্লা করবি না, এদিক-ওদিক দেখবি না, সোজা আদালতের দিকে চলে যা আর আমরা যা বলেছি এই শর্ত ভঙ্গ করবি না। না হলে তোকে জাহান্নামে যেতে হবে এটা যেন মনে থাকে।’

জেএ/এসএইচএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।