বিকেলে ফুলকোর্ট সভায় বসছেন বিচারপতিরা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১১:৫৭ এএম, ০২ মে ২০১৯

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে আজ বিকেলে ফুলকোর্ট সভায় বসবেন আপিল ও হাইকোর্ট উভয় বিভাগের বিচারপতিরা।

‘ন্যাশনাল জাস্টিস অডিট বাংলাদেশ’ এর তথ্য উপস্থাপনের পাঁচ দিনের মাথায় প্রধান বিচারপতির সভাপতিত্বে সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় এ সভা হবে।

গত ২৭ এপ্রিল মামলার জট ও মামলা ব্যবস্থাপনা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের সামনে তথ্য উপস্থাপনের পর সব বিচারপতির সঙ্গে এক মাসের মধ্যে বসার ঘোষণা দেন প্রধান বিচারপতি। এরপর দিন এক মামলার শুনানিকালে আপিল বিভাগে সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবীদের কাছে মামলা জট নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে প্রধান বিচারপতি বলেন, সুপ্রিম কোর্টের বর্তমানে এত মামলা যে ফাইল রাখার মতো জায়গা নেই। এককথায় ক্রিটিক্যাল অবস্থা। এভাবে চলতে পারে না। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এএফ হাসান আরিফ প্রমুখ।

প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, জিআইজেডের (জার্মান ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেশন বাংলাদেশ) উপস্থাপন করা সুপ্রিম কোর্টের মামলার নিরীক্ষা প্রতিবেদন দেখে আমি প্রায় বিব্রত। এত মামলা! এভাবে চলতে পারে না। তাই আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি মামলা জট নিরসন বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের সব বিচারপতিকে নিয়ে বসব।

গত ৩০ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের ডেপুটি রেজিস্ট্রার (প্রশাসন ও বিচার) মোহাম্মদ আক্তারুজ্জামান ভূঁইয়ার স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে আজকের ফুলকোর্ট সভার কথা জানানো হয়।

প্রসঙ্গত, ফুলকোর্ট সভায় বিভিন্ন বিচারাঙ্গণের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। বিচার বিভাগের প্রশাসনিক কার্যক্রম কীভাবে পরিচালিত হবে তা নিয়েও ফুলকোর্ট সভায় উপস্থাপন করা হয়। পদাধিকারবলে দেশের প্রধান বিচারপতি সভাপতিত্ব করেন এ সভায়।

জাস্টিস অডিটের ফলাফলে দেখা গেছে, ২০১৬ থেকে ২০১৭ সালে মুখ্য বিচারিক হাকিমের আদালতে বিচারাধীন মামলার প্রবৃদ্ধির হার ছিল ১৪ শতাংশ, দায়রা আদালতে এ হার ১৬ শতাংশ এবং সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে এ প্রবৃদ্ধির হার ৯ শতাংশ। এভাবে চলতে থাকলে ২০২২ সালে মুখ্য বিচারিক হাকিমের আদালত, দায়রা আদালত ও হাইকোর্ট বিভাগে আগের বছরগুলো থেকে আসা মামলার পরিমাণ হবে যথাক্রমে ৭২ শতাংশ, ৮০ শতাংশ এবং ৯০ শতাংশ। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে মামলা ব্যবস্থাপনায় বিশেষ পদক্ষেপ নিতে পরামর্শ দেয়া হয়েছে অডিটে।

২৭ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্ট মিলনায়তনে,‘ন্যাশনাল জাস্টিস অডিট বাংলাদেশ, শীর্ষক শেয়ারিং ইভেন্ট অনুষ্ঠানে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পাদিত এই ন্যাশনাল জাস্টিস অডিটের তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপন করা হয়।

এফএইচ/জেডএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।