শবে বরাতের রাতে ৬ ছাত্র হত্যা : আজও সাক্ষ্য হয়নি

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৭:৪৪ পিএম, ২৮ এপ্রিল ২০১৯

আট বছর আগে শবে বরাতের রাতে সাভারের আমিন বাজারে ছয় ছাত্রকে ডাকাত সন্দেহে পিটিয়ে হত্য করার অভিযোগে করা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ১২ জুন দিন ধার্য করেছেন আদালত। রোববার মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল।

আদালতের মামলার দ্বিতীয় তদন্তকারী কর্মকর্তা সাবেক সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সিরাজুল ইসলাম উপস্থিত না হওয়ায় রাষ্ট্রপক্ষ সময়ের আবেদন করেন। ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক সামছুল ইসলাম সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে আগামী ১২ জুন সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য নতুন দিন ধার্য করেন।

মামলায় ৯২ সাক্ষীর মধ্যে বিভিন্ন সময় ৫২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। এখন বাকি মামলার দুই তদন্তকারী কর্মকর্তা সাবেক সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সিরাজুল ইসলাম ও র‌্যাব সদর দফতরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরিফ উদ্দিন। তারা সাক্ষ্য দিলেই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ করবেন বলে জানিয়েন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী শাকিলা জিয়াসমিন মিতু।

আইনজীবী শাকিলা জিয়াসমিন মিতু আরো বলেন, ‘এর আগে ২০১৮ সালের ২৫ নভেম্বর, চলতি বছরের ২৩ জানুয়ারি ও ১২ মার্চ সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য থাকলেও দ্বিতীয় তদন্তকারী কর্মকর্তা সাক্ষ্য দিতে আদালতের উপস্থিত হয়নি।’

প্রসঙ্গত, ২০১১ সালের ১৭ জুলাই শবে বরাতের রাতে আমিন বাজারের বড়দেশি গ্রামের কেবলার চরে ডাকাত সন্দেহে ছয় ছাত্রকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। নিহতরা হলেন- বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ম্যাপললিফের এ লেভেলের ছাত্র শামস রহিম শামীম (১৮), মিরপুর বাংলা কলেজের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র তৌহিদুর রহমান পলাশ (২০), একই কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ইব্রাহিম খলিল (২১), উচ্চ মাধ্যমিক বিজ্ঞান বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র কামরুজ্জামান কান্ত (১৬), তেজগাঁও কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র টিপু সুলতান (১৯) ও বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজির (বিইউবিটি) বিবিএ দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র সিতাব জাবির মুনিব (২০)।

ঘটনার পর নিহতদের বিরুদ্ধেই ডাকাতির অভিযোগ এনে গ্রামবাসীর পক্ষে সাভার মডেল থানায় মামলা করেন আব্দুল মালেক নামে এক বালু ব্যবসায়ী।

অন্যদিকে ছয় কলেজছাত্র হত্যাকাণ্ডে ৬০০ গ্রামবাসীকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক আনোয়ার হোসেন।

২০১৩ সালের ৭ জানুয়ারি র‌্যাব সদর দফতরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরীফ উদ্দিন আহমেদ ৬০ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। ওই বছরের ৮ জুলাই মামলার ৬০ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জশিট) গঠন করেন ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. হেলালউদ্দিন।

চার্জশিটভুক্ত ৬০ আসামি হলেন- ডাকাতি মামলার বাদী আব্দুল মালেক, সাঈদ মেম্বর, আব্দুর রশিদ, ইসমাইল হোসেন রেফু, নিহর ওরফে জমশের আলী, মীর হোসেন, মজিবর রহমান, কবির হোসেন, আনোয়ার হোসেন, রজুর আলী সোহাগ, আলম, রানা, আ. হালিম, ছাব্বির আহম্মেদ, আলমগীর, আনোয়ার হোসেন আনু, মোবারক হোসেন, অখিল খন্দকার, বশির, রুবেল, নূর ইসলাম, আনিস, সালেহ আহমেদ, শাহাদাত হোসেন রুবেল, টুটুল, অখিল, মাসুদ, নিজামউদ্দিন, মোখলেছ, কালাম, আফজাল, বাদশা মিয়া, তোতন, সাইফুল, রহিম, শাহজাহান, সুলতান, সোহাগ, লেমন, সায়মন, এনায়েত, হায়দার, খালেদ, ইমান আলী, দুলাল , আলম, আসলাম মিয়া, শাহীন আহমেদ, ফরিদ খান, রাজীব হোসেন, হাতকাটা রহিম, মো. ওয়াসিম, সেলিম মোল্লা, সানোয়ার হোসেন, শামসুল হক ওরফে শামচু মেম্বার, রাশেদ, সাইফুল, সাত্তার, সেলিম ও মনির ।

জেএ/এমআরএম/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।