ধর্মীয় বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবো না : হাইকোর্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৬:২৮ পিএম, ১৮ এপ্রিল ২০১৯

শাবান মাসের চাঁদ দেখা ও শবে বরাত নিয়ে করা রিটের শুনানিতে হাইকোর্ট বলেছেন, এটা ধর্মীয় বিষয়। এ বিষয়ে আমরা হস্তক্ষেপ করবো না।

শাবান মাসের চাঁদ দেখা ও শবে বরাত নিয়ে ‘মজলিসু রুইয়াতিল হিলাল’ সংগঠনের পক্ষে ১০ ব্যক্তির করা রিটের শুনানি করতে গেলে বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও বিচারপতি মো. সোহরাওয়ার্দীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এমন মন্তব্য করেন।

আদালত বলেন, ‘শবে বরাতের দিন নিয়ে সিদ্ধান্ত ইতোমধ্যেই হয়ে গেছে। আমরা এখন আর হস্তক্ষেপ করবো না। আপনারা চাইলে অন্য হাইকোর্ট বেঞ্চে যেতে পারেন।’

এ সময় রিটকারীদের আইনজীবী তৈমুর আলম খোন্দকার আদালতকে বলেন, ‘এ বছরের জন্য নয়, ভবিষ্যতের জন্য চাঁদ দেখার পদ্ধতিগত বিষয় নিয়ে একটা আদেশ দিতে পারেন। এক্ষেত্রে চাঁদ দেখায় বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি অবলম্বনের নির্দেশ দিতে পারেন।’ তখন আদালত আইনজীবীকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চাঁদ দেখার ক্ষেত্রে কী ধরনের পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়, সে বিষয়গুলো সংযুক্ত করে আপনারা আদালতে একটি আবেদন করেন। আমরা বিষয়টি পরবর্তীতে শুনবো।’

এর আগে বুধবার (১৭ এপ্রিল) হাইকোর্টের আরেকটি বেঞ্চে গত ৬ এপ্রিল চাঁদ দেখা নিয়ে এক রিট আবেদনের অনুমতি চাইতে গেলে আদালত বলেছিলেন, এখন একেবারেই লাস্ট স্টেজ। এ অবস্থায় নতুন করে বিভ্রান্তির অবকাশ নেই।

গত ৬ এপ্রিল জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি সভা করে জানিয়েছিল, ওইদিন দেশের আকাশে কোথাও শাবান মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। ফলে ৮ এপ্রিল থেকে শাবান মাস গণনা শুরু হবে এবং ২১ এপ্রিল দিবাগত রাতে পবিত্র লাইলাতুল বরাত পালিত হবে।

তবে ‘মজলিসু রুইয়াতিল হিলাল’ নামে একটি সংগঠনের দাবি, সেদিন খাগড়াছড়িতে চাঁদ দেখা গেছে। তাদের দাবি অনুযায়ী ২০ এপ্রিল দিবাগত রাতে পবিত্র লাইলাতুল বরাত পালিত হওয়ার কথা। এ নিয়ে বিতর্ক এড়াতেই জরুরি বৈঠক ডাকে সরকার।

এর মধ্যে সাব-কমিটি মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) বৈঠক করার পর ২১ এপ্রিলের সিদ্ধান্ত বহাল রাখে সরকার। এরপরও ‘মজলিসু রুইয়াতিল হিলাল’ নামক সংগঠনের ১০ জন হাইকোর্টে রিট করেন। এরপর বিব্রত প্রকাশ করেন হাইকোর্টের অপর একটি বেঞ্চ। আজ রিটকারীরা আবার আদালতে যান।

এফএইচ/এসআর/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।