শাবানের চাঁদ ও শবে বরাত নিয়ে বিব্রত হাইকোর্ট
শাবান মাসের চাঁদ দেখার সাক্ষ্যগ্রহণ ও শবে বরাতের তারিখ নির্ধারণ নিয়ে হাইকোর্ট বলেছেন, এখন একেবারেই লাস্ট স্টেজ। তাই আমরা বিষয়টি নিয়ে বিব্রতবোধ করছি এবং এ অবস্থায় নতুন করে বিভ্রান্তির অবকাশ নেই। আদালত আরও বলেন, হলফনামার জন্য আমরা অনুমতি দিতে পারছি না।
৬ এপ্রিল শাবান মাসের চাঁদ দেখা গেছে মর্মে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশনা চেয়ে করা এক আবেদনের জন্য অনুমতি চাওয়ার সময় বুধবার হাইকোর্টের বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই মন্তব্য করেন।
আদালতে আজ রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ সাইফুল আলম। আবেদনের পক্ষে ছিলেন মো. খুরশীদ আলম খান।
পরে খুরশীদ আলম খান সাংবাদিকদের বলেন, ‘আবেদনকারীদের কথা হচ্ছে ৬ এপ্রিল চাঁদ দেখা গেছে। সে অনুসারে ২০ তারিখ শবে বরাত। সেটির কিছু তথ্য নিয়ে ১০ জন আবেদন করতে চাচ্ছেন। অনুমতির জন্য আদালতে এসেছিলাম। আদালত রিফিউজ করে বললেন আমরা পারমিশন দেবো না।’
গত ৬ এপ্রিল জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি সভা করে জানিয়েছিল, ওই দিন দেশের আকাশে কোথাও শাবান মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। ফলে ৮ এপ্রিল থেকে শাবান মাস গণনা শুরু হবে এবং ২১ এপ্রিল দিবাগত রাতে পবিত্র লাইলাতুল বরাত পালিত হবে।
তবে ‘মজলিসু রুইয়াতিল হিলাল’ নামে একটি সংগঠনের দাবি, সেদিন খাগড়াছড়িতে চাঁদ দেখা গেছে। তাদের দাবি অনুযায়ী, ২০ এপ্রিল দিবাগত রাতে পবিত্র লাইলাতুল বরাত পালিত হওয়ার কথা। এ নিয়ে বিতর্ক এড়াতেই জরুরি বৈঠক ডাকে সরকার।
১৩ এপ্রিল বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে শাবান মাসের চাঁদ দেখা নিয়ে বিতর্কের অবসান ঘটাতে ১১ সদস্যের সাব-কমিটি গঠন করা হয়। এ কমিটি শবে বরাতের আগে ১৭ এপ্রিলের মধ্যে তাদের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবে।
এ অবস্থায় ১৫ এপ্রিল ওই ১০ জন হাইকোর্টে আবেদন (৬ এপ্রিল চাঁদ দেখা গেছে মর্মে) করার অনুমতি চেয়ে আবেদন করেন। ওইদিন আদালত বলেছিলেন, এটা ধর্মীয় সেনসিটিভ ইস্যু। এটা আদালতের বিষয়বস্তু না করাই ভালো। আপনাদের (আবেদনকারীদের) বক্তব্য আপাতত ইসলামিক ফাউন্ডেশনে লিখিত আকারে জমা দেন। তারা যদি কনসিরাডেশনে না নেন, ১৭ তারিখে দেখা যাবে।
এর মধ্যে সাব কমিটি ১৬ এপ্রিল মঙ্গলবার মিটিং করার পর ২১ এপ্রিলের সিদ্ধান্ত বহাল রাখে সরকার। বুধবার আদালতে সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, হাইকোর্টের আদেশ মতো আমি ইসলামিক ফাউন্ডেশনকে এমনকি মন্ত্রী মহোদয়কেও টেলিফোন করেছি। বলেছি উনাদের দরখাস্ত গ্রহণ করতে। গতকাল কমিটির মিটিং হয়েছে। উনাদের দরখাস্ত নেয়া হয়েছে। সেটার ওপর আলোচনাও হয়েছে। এরপর আদালত আবেদনকারীদের হলফনামা করতে অনুমতি দেননি।
এফএইচ/এনএফ/জেআইএম