টাকা তো দূরে, গ্রীন লাইন কর্তৃপক্ষ যোগাযোগই করেনি : রাসেল
বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ে ফ্লাইওভারের ওপর বাস চাপায় পা হারানো রাসেল সরকারের সঙ্গে গ্রীন লাইন পরিবহন কর্তৃপক্ষ এখন পর্যন্ত কোনো যোগাযোগ করেনি। বুধবার (১০ এপ্রিল) সকালে জাগো নিউজকে এ তথ্য জানান রাসেল সরকার। এখন তিনি হাইকোর্টে রয়েছেন। আজ নির্ধারিত দিনে রাসেলের ক্ষতিপূরণের বিষয়ে শুনানি হতে পারে বলে তিনি আদালতে উপস্থিত হয়েছেন।
রাসেল সরকার বলেন, ‘আদালতের আদেশ অনুযায়ী গ্রীন লাইন কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে গতকাল (সোমবার) আমাকে টাকা দিয়ে আজ কোর্টকে জানানোর কথা ছিল। টাকা তো দূরে থাকা, আজ এখন পর্যন্ত তাদের (গ্রীন লাইন কর্তৃপক্ষ) পক্ষ থেকে কোনো যোগাযোগই করেনি।’
পা হারানো রাসেল সরকারকে ৫০ লাখ দিতে গ্রীন লাইন পরিবহন কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। ওই আদেশ বাস্তবায়নের বিষয়ে আজ বুধবার হাইকোর্টে শুনানির দিন ধার্য রয়েছে।
অন্যদিকে হাইকোর্টের দেয়া ক্ষতিপূরণের আদেশ স্থগিত চেয়ে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির পক্ষে গতকাল মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) দুপুরে চেম্বার আদালতে আবেদন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রিট আবেদনকারী সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী উম্মে কুলসুম।
তিনি জানান, মালিক সমিতির পক্ষে সহ-সভাপতি মাহবুবুর রহমান আবেদনটি করেন। এতে হাইকোর্টের ১২ মার্চ দেয়া আদেশ স্থগিত চাওয়া হয়। আবেদনের পক্ষে লড়তে আইনজীবী আবদুল মতিন খসরুকে নিতে চাইলে তিনি মামলা পরিচালনায় অসম্মতি জানালে আবেদনটি আজ (বুধবার) দুপুরে শুনানির জন্য রাখা হয়।
আবদুল মতিন খসরু জাগো নিউজকে বলেন, ‘মালিক সমিতির পক্ষে মামলাটি লড়ার জন্য আমাকে গ্রীন লাইনের আইনজীবী অনুরোধ করেছিল। আমি বিবেকের তাড়নায় সবসময় ভিকটিমের পক্ষে। বিষয়টি শোনার পর তাই গাড়ির মালিকের পক্ষে মামলা পরিচালনায় অপারগতা প্রকাশ করেছি।’
রাসেলের পা হারানোর ঘটনায় কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে আইনজীবী উম্মে কুলসুমের করা এক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১২ মার্চ হাইকোর্ট এক আদেশে দুই সপ্তাহের মধ্যে রাসেলকে ৫০ লাখ টাকা দিতে গ্রীন লাইন পরিবহন কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন। সেই সঙ্গে প্রয়োজন হলে তার পায়ে অস্ত্রোপচার এবং কাটা পড়া বাঁ পায়ে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে কৃত্রিম পা লাগানোর খরচ দিতে ওই পরিবহন কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেয়া হয়।
তবে হাইকোর্টের ওই আদেশের বিরুদ্ধে গ্রীন লাইন পরিবহন আপিল বিভাগ আবেদন করে। তবে আপিল আবেদনটি গত ৩১ মার্চ খারিজ করেন আদালত। ফলে হাইকোর্টের আদেশ বহাল থাকে।
এফএইচ/আরএস/জেআইএম