এফআর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ড : কারাগারে তাসভির-ফারুক

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫:৩৭ পিএম, ০৮ এপ্রিল ২০১৯

বনানীর এফআর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ভবনের বর্ধিত অংশের মালিক তাসভির উল ইসলাম ও ভবনের জমির মালিক প্রকৌশলী এস এম এইচ আই ফারুকের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

সাতদিনের রিমান্ড শেষে সোমবার (৮ এপ্রিল) তাদের ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। এসময় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক জালাল উদ্দিন তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত আসামিদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। অপরদিকে আসামিদের আইনজীবীরা জামিন চেয়ে আবেদন করেন।

শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াসির আহসান চৌধুরী তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। সেই সঙ্গে আসামিপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কারাবিধি অনুযায়ী তাদের চিকিৎসার নির্দেশ দেন।

এর আগে গত ৩১ মার্চ তাসভির উল ইসলাম ও প্রকৌশলী এস এম এইচ আই ফারুকের সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

৩০ মার্চ বারিধারার নিজ বাসা থেকে টাওয়ারের নকশাবহির্ভূত ও বর্ধিত অংশের মালিক বিএনপি নেতা তাসভির উল ইসলাম এবং বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে ভবনের জমির মালিক প্রকৌশলী এস এম এইচ আই ফারুককে গ্রেফতার করা হয়।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২৮ মার্চ বনানীর কামাল আতাতুর্ক এভিনিউয়ের পাশের ১৭ নম্বর সড়কে ফারুক রূপায়ণ (এফআর) টাওয়ারের ভয়াবহ আগুনে ঘটনাস্থলে ২৫ জন ও হাসপাতালে একজন নিহত হন। আহত হয়েছেন আরও ৭৩ জন। ৩০ মার্চ এফআর টাওয়ারের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বনানী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মিল্টন দত্ত বাদী হয়ে এ মামলা করেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামিরা অসৎ উদ্দেশ্যে পরস্পর জোগসাজশে মানুষের জানমালের ক্ষতি, অবহেলা ও তাচ্ছিল্যপূর্ণ কার্যকলাপের ফলে অপরাধজনক অগ্নিকাণ্ডে মানুষের প্রাণহানি, মারাত্মক জখমসহ সম্পদের ক্ষতিসাধন করে।

মামলার আসামিরা হলেন ভবনের বর্ধিত অংশের মালিক তাসভির উল ইসলাম, জমির মালিক প্রকৌশলী এস এম এইচ আই ফারুক ও রূপায়ন গ্রুপের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী খান।

এছাড়া এফআর টাওয়ারের ব্যবস্থাপনা কমিটির নেতাসহ অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়।

জেএ/এসএইচএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।