স্কুলের ছাদ ধসে ছাত্রীর মৃত্যু : কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে রিট

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০২:২১ পিএম, ০৭ এপ্রিল ২০১৯

বরগুনার তালতলীর একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনের ছাদ ধসে নিহত শিক্ষার্থীর পরিবারকে কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়ার নির্দেশনা চেয়ে রিট করা হয়েছে হাইকোর্টে।

জনস্বার্থে রোববার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় ব্যারিস্টার হুমায়ন কবির পল্লব রিটটি করেছেন বলে জাগো নিউজকে আইনজীবী নিজেই জানিয়েছেন।

এছাড়া রিটে বিম ধসে পড়ার ঘটনায় আহতদের যথাযথ চিকিৎসা ও তাদের পরিবারকে ১০ লাখ টাকা করে খরচ দেয়ার নির্দেশনা চাওয়ার জন্য বলা হয়েছে।

রিট আবেদনটির ওপর শুনানির জন্য হাইকোর্টের বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে উপস্থাপন করা হতে পারে বলেও জানান আইনজীবী।

শনিবার (৬ এপ্রিল) দুপুরে বরগুনার তালতলী উপজেলার ৫নং ছোটবগি পি কে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাদের গ্রেড বিম ভেঙে পড়ে মানসুরা (৮) নামে তৃতীয় শ্রেণির এক শিক্ষার্থী নিহত হয়। এ ঘটনায় একই শ্রেণির আরও পাঁচজন আহত হয়। আহতদের আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

স্কুলের ভবন নির্মাণে নিম্নমানের কাজের কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানান ছোটবগি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুহা. তৌফিকুজ্জামান তনু।

সূত্র জানায়, উপজেলার ৫নং ছোটবগি পি কে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ১৯৬৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০০২ সালে আমতলী উপজেলা প্রকৌশলী বিভাগ স্কুল ভবনটি নির্মাণ করে। ভবন নির্মাণের কাজ পায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স সেতু এন্টারপ্রাইজ। ওই সময় ভবনটি নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে নির্মাণ করা হয় বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেন।

এদিকে আজ স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো.তাজুল ইসলাম সচিবালয়ে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘এ ধরনের দুর্ঘটনার জন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত। আজকে দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা এলজিইডিকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা করা, পাশাপাশি ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলোকে চিহ্নিত করে দ্রুত সেখানে নতুন ভবন নির্মাণের পদক্ষেপ নেয়ার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।’

এফএইচ/জেএইচ/বিএ/এমএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।