রুহুল আমিন হাওলাদারকে দুদকে তলবের নোটিশ হাইকোর্টে স্থগিত
জাতীয় পার্টির (জাপা) সাবেক মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদারকে তলব করে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দেয়া নোটিশ চার সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।
রুহুল আমিন হাওলাদারের পক্ষে করা আবেদন শুনানি নিয়ে আজ (বুধবার) বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি মো. কুদ্দুসজামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে আজ সাবেক জাপা মহাসচিবের পক্ষে শুনানি করেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট এ এম আমিন উদ্দিন। অপরদিকে দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশিদ আলম খান।
পরে আইনজীবী খুরশিদ আলম খান জানান, দুদকের তলবের নোটিশ চার সপ্তাহের জন্য স্থগিত করে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। ফলে তাকে আগামীকাল (৪ এপ্রিল) আর দুদকে হাজির হতে হবে না।
এর আগে গত ২৮ মার্চ দুর্নীতির বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদারকে তলব করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের পক্ষে উপ-পরিচালক সৈয়দ আহমদ সাবেক জাপা মহাসচিবকে ওই নোটিশ পাঠান। নোটিশে তাকে ৪ এপ্রিল সকাল সাড়ে ৯টায় সেগুনবাগিচায় দুদক প্রধান কার্যালয়ে হাজির হতে বলা হয়।
প্রসঙ্গত শত কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে জাতীয় পার্টির মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদারকে গত বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর মামলার অনুসন্ধান কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক সৈয়দ আহমেদ তাকে ১৮ সেপ্টেম্বর দুদক প্রধান কার্যালয়ে হাজির হওয়ার জন্য নোটিশ পাঠান।
কিন্তু ‘রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে ব্যস্ততা’ ও ‘অসুস্থতার’ কারণ দেখিয়ে সে সময়ে দুদকে হাজির হননি রুহুল আমিন হাওলাদার। একই সঙ্গে ‘স্বাস্থ্যঝুঁকি’ ও ‘পারিপার্শ্বিক অবস্থা বিবেচনা করে ব্যক্তিগত উপস্থিতি ও অভিযোগ থেকে অব্যাহতি চেয়ে দুদকে চিঠি দেন তিনি।
দুদুক সূত্রে জানা গেছে পটুয়াখালী থেকে আসা একটি অভিযোগ ও ২০১৪ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় নির্বাচন কমিশনে (ইসি) জমা দেয়া হলফনামা বিশ্লেষণ করে অস্বাভাবিক সম্পদ বৃদ্ধির বিষয়টি আমলে নিয়ে রুহুল আমিন হাওলাদারের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে তারা। পরে তা বন্ধ হয়ে যায়। ২০১৭ সালে নতুন করে আবার এ বিষয়ে অনুসন্ধানে নামে দুদক। এরই প্রেক্ষিতে গত ২৮ মার্চ ফের তাকে সেগুনবাগিচায় প্রধান কার্যালয়ে হাজির হতে নোটিশ দিয়েছিল দুদক।
এফএইচ/এমএমজেড/আরআইপি