চুড়িহাট্টা ও বনানীতে নিহতদের ক্ষতিপূরণে হাইকোর্টের রুল
রাজধানীর পুরান ঢাকার চকবাজারের চুড়িহাট্টা ও বনানীর এফআর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণের নির্দেশ কেন দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
এছাড়া গুলশান এলাকায় ফায়ার স্টেশন স্থাপনের নির্দেশ কেন দেয়া হবে না, তা জানতেও রুল জারি করা হয়েছে। আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যে স্বরাষ্ট্র সচিব, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত সচিব এবং খাদ্য ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সচিব, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটির মেয়র, ফায়ার ব্রিগেডের মহাপরিচালক ও রাজউক চেয়ারম্যানকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
একইসঙ্গে, জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে অগ্নিকাণ্ড বা প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলার বিষয়গুলো পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, রুলে তাও জানতে চেয়েছেন আদালত। এ সংক্রান্ত রুলের জবাব ২ সপ্তাহের মধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সচিবকে দিতে বলা হয়েছে।
এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন রিটকারী আইনজীবী ব্যারিস্টার শুকলা সারওয়াত সিরাজ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী জিনাত হক।
রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন সংযুক্ত করে রোববার (৩১ মার্চ) গুলশান সোসাইটির মহাসচিব সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার শুকলা সারওয়াত সিরাজ এ রিট আবেদন করেন।
শুনানি শেষে দেয়া আদেশে ফায়ার ফাইটারদের কাজের সুবিধার্থে আধুনিক পোশাক, যন্ত্রপাতি ও যানবাহন পর্যাপ্ত আছে কি না, সে বিষয়ে বিশেষজ্ঞ কমিটির দ্বারা একটি প্রতিবেদন তৈরি করে তা আগামী চার মাসের মধ্যে দাখিল করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্টে।
ব্যারিস্টার শুকলা সারওয়াত সিরাজ সাংবাদিকদের বলেন, রুল জারি করার পাশাপাশি আদালত রাজধানীতে সাততলা বা তার বেশি উচ্চতার সব ভবনে অগ্নিনির্বাপণের জন্য কী কী ব্যবস্থা রাখা হয়েছে, সে বিষয়ে একটি প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন। ঢাকার উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র, রাজউক এবং ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালকের সমন্বয়ে গঠিত যৌথ কমিটিকে চার মাসের মধ্যে এ প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, আদালত একইসঙ্গে অগ্নিনির্বাপণ ও দুর্যোগ মোকাবেলার জন্য ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সে কত জনবল, কী পরিমাণ আধুনিক ও পর্যাপ্ত উপকরণ, যন্ত্রপাতি ও যানবাহনের সক্ষমতা রয়েছে, সে বিষয়েও একটি প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন। এক মাসের মধ্যে সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালককে এ প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
এফএইচ/এইউএ/এমএসএইচ/পিআর