কুমিল্লার মামলায় খালেদার জামিন চেম্বারে স্থগিত
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে বাসে আগুন দিয়ে মানুষ হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন স্থগিত করেছেন চেম্বারজজ আদালত। একই সঙ্গে এ বিষয়ে আগামী ৭ এপ্রিল শুনানির জন্য আপিল বিভাগের নিয়মিত ও পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠিয়েছেন আদালত।
হাইকোর্টের দেয়া জামিন আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনের শুনানি নিয়ে রোববার আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. নূরুজ্জামানের চেম্বারজজ আদালত এই আদেশ দেন। আদেশের বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন ব্যারিস্টার একেএম এহসানুর রহমান।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ ও মো. বশির উল্লাহ। খালেদা জিয়ার পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী, মাহবুব উদ্দিন খোকন ও কায়সার কামাল।
ড. মো. বশির উল্লাহ বলেন, গত ৬ মার্চ এ মামলায় বিচারপতি একেএম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি এসএম মজিবুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ ছয় মাসের জামিন দেন। এর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করেছিলেন। হাইকোর্টের দেয়া জামিন আদেশ স্থগিত করে ৭ এপ্রিল পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠিয়েছেন আদালত। ওই দিন আগামী (৭ এপ্রিল) পর্যন্ত হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করা হয়েছে।
এর আগে গত ৪ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লার আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করেছিলেন। এরপর ২৭ ফেব্রুয়ারি জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন খালেদা জিয়া। ৫ মার্চ এ আবেদনের ওপর শুনানি শেষ হয় এবং পরের দিন ৬ মার্চ জামিনের আদেশ দেন। জামিন চেয়ে করা আবেদনের শুনানি নিয়ে (৬ মার্চ) হাইকোর্ট রুল জারিসহ খালেদা জিয়াকে ছয় মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেন।
বিএনপি-জামায়াতসহ ২০ দলীয় জোটের ডাকা হরতাল-অবরোধ চলাকালে ২০১৫ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি ভোর রাতে চৌদ্দগ্রামের জগমোহনপুরে একটি নৈশকোচে পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করে দুর্বৃত্তরা। আইকন পরিবহনের ওই বাসটি কক্সবাজার থেকে ঢাকা যাচ্ছিল। ওই আগুনে পুড়ে ঘটনাস্থলে সাতজন নিহত হন। পরে হাসপাতালে নেয়ার পর আরও একজন মারা যান।
এই ঘটনায় আটজন যাত্রী অগ্নিদগ্ধ হয়ে নিহত ও ২৭ জন আহত হন। ঘটনায় পরদিন ৩ ফেব্রুয়ারি বিএনপি ও জামায়াতের ৫৬ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ১৫ থেকে ২০ জনের বিরুদ্ধে চৌদ্দগ্রাম থানার উপ-পরির্দশক (এসআই) নূরুজ্জামান হাওলাদার বাদী হয়ে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে পৃথক দুটি মামলা করেন।
প্রসঙ্গত, দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হয়ে খালেদা জিয়া গত বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে নাজিমুদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে আছেন।
এফএইচ/বিএ/জেআইএম