আগুন নিয়ন্ত্রণে আধুনিক যন্ত্রপাতির দাবিতে হাইকোর্টে রিট

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১২:৫৬ পিএম, ৩১ মার্চ ২০১৯
গুলশানের ডিএনসিসি মার্কেটে শনিবার আগুন লাগে

ঢাকা মহানগরীতে ফায়ার ফাইটারদের কাজের সুবিধার্থে আধুনিক ও পর্যাপ্ত পোশাক, যন্ত্রপাতি ও যানবাহন সরবরাহ করার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়েছে। রিটে পর্যাপ্ত আগুন নেভানোর সুবিধাজনক ব্যবস্থা ছাড়া ঢাকা মহানগরীতে কোন ধরনের উচু ভবন নির্মাণ করার বৈধতাও চ্যালেঞ্জ করা হয়।

পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ছাড়া ভবন নির্মাণ করা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড ও অগ্নিনির্বাপণ আইন লংঘনের কারণে সৃষ্ট আগুনের বিপত্তি থেকে ঢাকা মহানগরের বাসিন্দাদের নিরাপদ রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না -রিট আবেদনে তা জানতে চেয়ে রুল জারির নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।

রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে আগুনের দুর্ঘটনা নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন সংযুক্ত করে রোববার (৩১ মার্চ) গুলশান সোসাইটির মহাসচিব সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার শুকলা সারওয়াত সিরাজ এ রিট আবেদন করেন।

রিটে স্বরাষ্ট্র সচিব, গৃহায়ন ও গণপূর্ত সচিব এবং খাদ্য ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সচিব, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটির মেয়র, ফায়ার ব্রিগেডের মহাপরিচালক ও রাজউক চেয়ারম্যানকে বিবাদী করা হয়েছে।

সোমবার (১ মার্চ) হাইকোর্টের বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের বেঞ্চে শুনানি হবে বলে জানিয়েছেন রিট আবেদনকারী।

অগ্নিনির্বাপণ আইন অনুসারে ঢাকার সকল উচু ভবনগুলোতে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে -সে বিষয়ে রাজউক চেয়ারম্যানকে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। এছাড়া জনমনে সচেতনতা বাড়াতে আগুনের বিষয় পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। রিট আবেদনে গুলশান এলাকায় ফায়ার স্টেশন স্থাপনের নির্দেশনাও চাওয়া হয়।

রিটের বিষয়ে আইনজীবী জানান, রাজধানীর গুলশান এলাকায় স্বতন্ত্র ফায়ার সার্ভিস স্টেশন স্থাপন ও গুলশান এলাকার সব সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র স্থাপন নিশ্চিত করণের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেছি।

এফএইচ/জেএইচ/আরএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।