শাহজালালে টার্মিনাল নির্মাণে হাইকোর্টের বাধা কাটল চেম্বারে

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৭:৪১ পিএম, ১৯ মার্চ ২০১৯

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সম্প্রসারণ ও তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্পের জন্য আহ্বান করা দরপত্র প্রক্রিয়া স্থগিত করে দেয়া হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের চেম্বারজজ আদালত। সঙ্গে সঙ্গে এ বিষয়ে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য আগামী ৩১ মার্চ দিন ঠিক করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার আপিল বিভাগের বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর চেম্বারজজ আদালত এ আদেশ দেন। এর ফলে দরপত্রের কার্যক্রমে আপাতত কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

তিনি বলেন, এ বিষয়ে শুনানির জন্য আগামী ৩১ মার্চ আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠিয়ে দিয়েছেন আদালত।

আদালতে আজ বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের পক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবুল আলম, ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস ও ব্যারিস্টার মো. জাহাঙ্গীর হোসেন। অন্যদিকে ছিলেন এম আমিন উদ্দিন ও কামরুল হক সিদ্দিকী।

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সম্প্রসারণ ও তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্পের দরপত্র আহ্বানের ক্ষেত্রে সরকারের ক্রয়সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় কারিগরি ইউনিটের (সিপিটিউ) বিধান মানা হয়নি উল্লেখ করে গত ১৪ মার্চ হাইকোর্টে রিট করে তুরস্কের নির্মাণ প্রতিষ্ঠান টিএভি-গ্যাপইনসাত।

ওই রিটের ওপর শুনানি নিয়ে দরপত্রের কার্যক্রম স্থগিত করে গত ১৮ মার্চ রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট। হাইকোর্টের এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করার পর চেম্বারজজ আদালত আজ ওই আদেশ স্থগিত করে দেন।

এ রিট আবেদনের বিবরণে জানা যায়, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সম্প্রসারণ ও তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্পের দরপত্র আহ্বান করে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ। ওই দরপত্রে আইএফও সনদের শর্ত থাকায় প্রথমে তুরস্কের নির্মাণ প্রতিষ্ঠানটি দরপত্র নিতে পারেনি।

পরে টেন্ডার আহ্বানকারী প্রতিষ্ঠান শর্ত শিথিল করায় তাদের নিকট দরপত্র বিক্রি করা হয়। এ কারণে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ ইচ্ছাকৃতভাবে তাদের কাছে দরপত্র বিক্রি করেনি উল্লেখ করে হাইকোর্টে আসে তুরস্কের প্রতিষ্ঠানটি।

তবে, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ বলছে পাবলিক প্রকিউরমেন্ট ২০০৬ এর সেকশন ৩ এর জি-তে বলা আছে যে, যদি কোনো দাতা সংস্থা বা দেশে ঋণ বা অর্থ সহায়তায় কোনো প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়, সে ক্ষেত্রে সেই প্রকল্পে দরপত্রে পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অ্যাক্ট ২০০৬ এর বিধি বিধান প্রযোজ্য হবে না।

এ ক্ষেত্রে দাতা সংস্থা বা দেশ কর্তৃক প্রযোজ্য শর্ত প্রয়োগ হবে। এ কারণে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সম্প্রসারণ ও তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্পে জাইকা অর্থায়ন করছে বিধায় আলোচ্য প্রকল্পের ক্ষেত্রে জাইকার শর্তই প্রাধান্য পাবে। এ ক্ষেত্রে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ দরপত্র আহ্বানের ক্ষেত্রে কোনো ধরনের অনিয়ম করেনি।

এফএইচ/জেডএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।