রাজৈর থানার ওসির বিষয়ে সময় বেঁধে দিলেন হাইকোর্ট
মাদারীপুর জেলার রাজৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউল মোর্শেদকে প্রত্যাহারের জন্য করা আবেদন ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নিষ্পত্তি করার জন্য নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
রাজৈর উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. মহসীন মিয়ার করা এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিট আবেদনকারীপক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট ইদ্রিসুর রহমান ও সুজিত চ্যাটার্জি। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ফরহাদ আহমেদ।
রিট আবেদনে বলা হয়, ওসি জিয়াউল মোর্শেদ উপজেলা নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোতালেব মিয়াকে বিজয়ী করতে নানাভাবে প্রভাব সৃষ্টি করছেন। তিনি গত ৩ মার্চ থেকে বিভিন্ন ইউনিয়নের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিদের থানায় ডেকে নিয়ে মোতালেব মিয়ার পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিতে চাপ সৃষ্টি করছেন।
যারা এটা না করবেন তাদের মামলা দিয়ে হয়রানি করারও হুমকি দেয়া হচ্ছে। ওসি নিজে মোতালেব মিয়ার পক্ষে ভোট চাইছেন। এ অবস্থায় বিভিন্ন কেন্দ্র দখল করে মোতালেব মিয়াকে নির্বাচিত করার পায়তারা চলছে। এই অভিযোগে গত ৯ মার্চ ওসি জিয়াউল মোর্শেদকে প্রত্যাহার চেয়ে একই উপজেলার টেকেরহাটের পূর্বসরমঙ্গল এলাকার খোরশেদ মোল্লার ছেলে লিটন মোল্লা ইসিতে আবেদন করেছেন। কিন্তু ইসি সে আবেদন এখনও নিষ্পত্তি করেনি। এ অবস্থায় ওসির অপতৎপরতা আরও বেড়েছে।
লিটন মোল্লার আবেদনে আরও বলা হয়, ওসি জিয়াউল মোর্শেদ মাদারীপুর থানায় থাকাবস্থায় তার বিরুদ্ধে ঘুষের দাবিতে মহিলা ও শিশুর ওপর নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় ওসি জিয়াউল মোর্শেদ হাইকোর্টে হাজির হয়ে ক্ষমা চান। আদালত তাকে ভবিষ্যতের জন্য সতর্ক করে দেন ও তিরস্কৃত করেন।
এ ছাড়াও মাদারীপুর থানায় থাকতে ওই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে মানুষের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ আদায়ের অভিযোগ রয়েছে। এ কারণে তাকে মাদারীপুর থানা থেকে প্রত্যাহারও করা হয়েছিল। স্থানীয় সংসদ সদস্যের প্রভাবে তাকে মাদারীপুর থানা থেকে সরিয়ে রাজৈর থানায় দেয়া হয়।
এফএইচ/এনএফ/এমএস