প্রভোস্ট লাঞ্ছিত : নুর-লিটনের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৭:৩৯ পিএম, ১২ মার্চ ২০১৯
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে রোকেয়া হলের প্রভোস্ট ড. জিনাত হুদাকে লাঞ্ছিত করায় নির্বাচিত ভিপি নুরুল হক নুর এবং ভিপি প্রার্থী লিটন নন্দীসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলার প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১২ মার্চ) ঢাকা মহানগর হাকিম সরাফুজ্জামান আনছারী মামলাটির এজাহার গ্রহণ করে আগামী ১৭ এপ্রিল তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
শাহবাগ থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক নিজাম উদ্দিন বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন।
এর আগে সোমবার ঢাবির নৃত্যকলা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মারজুকা রায়না শাহবাগ থানায় নুরসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন। এতে অজ্ঞাত পরিচয় ৩০-৪০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
অপর তিনজন হলেন জিএস প্রার্থী ঢাবির জহুরুল হক হল ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক খন্দকার আনিসুর রহমান, জিএস প্রার্থী ছাত্র ফেডারেশনের ঢাবি শাখার সভাপতি উম্মে হাবীবা বেনজীর ও রোকেয়া হল সংসদে স্বতন্ত্র ভিপি প্রার্থী শেখ মৌসুমী।
অভিযোগে বলা হয়, সোমবার বেলা ১১টা ২০ মিনিটে মামলার বাদী মারজুকা রায়না রোকেয়া হলে ভোটের লাইনে দাঁড়ান। এর মধ্যে হেরে যাওয়ার ভয়ে নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ বানচাল করার চেষ্টা চালান অভিযুক্তরা। তারা গণমাধ্যমকর্মীদের মধ্যে গুজব ছড়ান যে, ট্রাকভর্তি সিলমারা ব্যালট পেপার হলের ভেতরে রয়েছে। পাশাপাশি তারা শিক্ষার্থীদের বিভ্রান্ত করে উসকে দেন।
একপর্যায়ে হল প্রভোস্ট ড. জিনাত হুদা শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করে বলেন, বাস্তবে তেমন কিছুই ঘটেনি। সংরক্ষিত ব্যালট পেপারগুলো সাদা। কিন্তু অভিযুক্তরা প্রভোস্টের কথা না শুনে তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন এবং শিক্ষার্থীদের গালাগাল করেন। এ সময় তারা রোকেয়া হল সংসদের দরজা-জানালা লাথি মেরে ভেঙে ফেলার চেষ্টা করেন। পরে তারা সংসদের ভেতর অনধিকার প্রবেশ করে একটি ট্রাঙ্ক বের করে আনেন। সেটি খুলে দেখা যায়, সব ব্যালট পেপারই সাদা। কোনোটিতে সিল মারা নেই।
জেএ/এনডিএস/জেআইএম