জাপানি নাগরিক হত্যা মামলার সাক্ষ্য হয়নি
রাজধানীর উত্তরায় জাপানি নাগরিক হিরোই মিয়াতার হত্যার অভিযোগে করা মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ৮ মে দিন ধার্য করেছেন আদালত।
বুধবার (৬ মার্চ) ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক রবিউল আলম এ দিন ধার্য করেন। মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য বুধবার দিন ধার্য ছিল। তবে আদালতে কোনো সাক্ষী উপস্থিত না হওয়ায় রাষ্ট্রপক্ষ সময়ের আবেদন করেন। আদালত আবেদন মঞ্জুর করে পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ৮ মে দিন ধার্য করেন। মামলার ২৯ সাক্ষীর মধ্যে সাক্ষ্য দিয়েছেন একজন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, মিয়াতা প্রতি সপ্তাহে তার মাকে ফোন করতেন। ২০১৫ সালের ২৬ অক্টোবর থেকে মোবাইল বন্ধ থাকায় তার মা মিয়াতাকে খুঁজে বের করে নিরাপত্তা দিতে ঢাকায় জাপান দূতাবাসের কর্মকর্তাদের অনুরোধ জানান।
পরে জাপান দূতাবাসের অনুরোধে পুলিশ মিয়াতার নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় তদন্ত শেষে হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে নিশ্চিত হয়ে উত্তরা পূর্ব থানায় মামলা করে। হিরোয়ি মিয়াতাকে অপহরণের পর খুন করে লাশ গুম করা হয় বলে মামলায় উল্লেখ করে পুলিশ।
ঘটনার পর ঢাকা ও লক্ষ্মীপুরে অভিযান চালিয়ে পুলিশ এ মামলায় পাঁচজনকে গ্রেফতার করে। তারা হলেন- মো. মারুফুল ইসলাম (৩০), রাশেদুল হক ওরফে বাপ্পী (৪২), ফখরুল ইসলাম (২৭), বিমলচন্দ্র শীল (৪০) ও মো. জাহাঙ্গীর (২৮)। এদের মধ্যে বিমল পেশায় চিকিৎসক।
গ্রেফতারকৃতরা পোশাক ব্যবসায়ী। মিয়াতার মাধ্যমে তারা জাপানসহ বিভিন্ন দেশে ব্যবসা করতেন।
জিডির পরে তদন্তে পুলিশ জানতে পারে এজাহারভুক্ত আসামি জাকিরুল ইসলাম পাটোয়ারি (৪২) ও মারুফুল ইসলাম মিয়াতার ব্যবসায়ী অংশীদার। তারা মিয়াতাকে সিটি হোমস হোটেলে রাখতেন। রাশেদুল সুকৌশলে তাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এরপর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় ফখরুলের বাসায় আটকে রেখে তার স্বজনদের কাছে মুক্তিপণ দাবি করে। বিমলচন্দ্র শীলের উপস্থিতি ও সহায়তায় পাঁচ আসামি ২৯ অক্টোবর ভোররাত ৪টার দিকে সুকৌশলে মিয়াতাকে হত্যা করে। ওই দিন বিকেলে মারুফুল মিয়াতার লাশ সমাহিত করে।
২০১৬ সালের ৩০ জুন উত্তরা পূর্ব থানার পরিদর্শক (ভারপ্রাপ্ত) আবু বকর মিয়া ছয় জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। ৩ নভেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত।
মামলার আসামিরা হলেন-এইচ এম জাকির হোসেন পাটোয়ারী ওরফে রতন, মারুফুল ইসলাম, রাশিদুল ইসলাম বাপ্পি, ফখরুল ইসলাম, মো. জাহাঙ্গীর হোসেন পাটোয়ারী ও ডা. বিমল চন্দ্র শীল।
জেএ/এএইচ /এমকেএইচ