খালেদার সঙ্গে ফখরুলের আলাপ
‘ম্যাডাম খালেদা জিয়া ভালো নেই। ডাক্তাররা এখনও তাকে প্রোপার ট্রিটমেন্ট দিচ্ছেন না। এছাড়া এখনও জামিন না পাওয়ায় তিনি (খালেদা জিয়া) হতাশ।’ রোববার (৩ মার্চ) পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডে অবস্থিত পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে খালেদার নাইকো মামলার শুনানি শেষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এসব কথা বলেন।
নাইকো দুর্নীতি মামলায় হাজিরা দেয়ার জন্য রোববার দুপুর সাড়ে ১২টায় খালেদাকে পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত ঢাকার ৯নং বিশেষ জজ আদালতে হাজির করা হয়। শুনানি শেষে দুপুর ১টা ৫০ মিনিটে তাকে আবারও কারাগারে নেয়া হয়। শুনানি চলাকালে এজলাসে খালেদা জিয়ার সঙ্গে প্রায় পুরো সময় জুড়ে আলাপ করেন মির্জা ফখরুল।
খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে এজলাসে আনার পর মির্জা ফখরুল খালেদা জিয়াকে সালাম প্রদান করেন। ফখরুল বলেন, ‘ম্যাডাম, কেমন আছেন?’ উত্তরে খালেদা জিয়া বলেন, ‘ভালো নেই। শরীরটা ভালো যাচ্ছে না।’
এরপর খালেদার পাশে থাকা চেয়ারে বসেন ফখরুল। খালেদার সাথে আলাপ করেন তিনি। আদালত শেষে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কী আলোচনা হয়েছে জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ম্যাডামের শারীরিক বিষয় নিয়ে আলাপ হয়েছে। ম্যাডাম ভালো নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘ডাক্তাররা তাকে (খালেদা জিয়া) প্রোপার ট্রিটমেন্ট দিচ্ছেন না। ডাক্তাররা মাত্র একবার এসে তাকে দেখে গেছেন। এরপর তার রক্ত নেয়া হয়নি। ডায়বেটিসের রোগী হিসাবে তার চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে না। এছাড়া জামিন নিয়েও হতাশ ম্যাডাম।’
জামিনের বিষয়ে খালেদা জিয়ার পরামর্শ কী জানতে চাইলে ফখরুল বলেন, ‘খালেদার জিয়ার পরামর্শ হচ্ছে লিগ্যালি আমরা তো মুভ করছি। সরকার ইলিগ্যালি জামিন দিচ্ছে না।’
বর্তমান রাজনৈতিক বিষয়ে কোনো আলাপ হয়েছে কি না -এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে কোনো আলাপ হয়নি।’
দুদকের দুই মামলায় ১০ ও ৭ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়ে কারাবন্দি রয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণার পর পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডে অবস্থিত পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে খালেদা জিয়াকে বন্দি রাখা হয়। সেখান থেকেই গত ৬ অক্টোবর চিকিৎসকদের পরামর্শে খালেদা জিয়াকে বিএসএমএমইউ হাসপাতালে নেয়া হয়। টানা এক মাস ২ দিন বিএসএমএমইউয়ে চিকিৎসা নেয়ার পর ৮ নভেম্বর তাকে আবারও কারাগারে ফিরিয়ে নেয়া হয়।
জেএ/আরএস/জেআইএম