মশার জ্বালায় বাঁচি না, কোটি টাকা যায় কই? প্রশ্ন হাইকোর্টের

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১০:০৫ পিএম, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

ঢাকা মহানগরীতে বায়ু দূষণের বিষয়ে করা মামলার শুনানিতে হাইকোর্ট বলেছেন, মশার কামড়ে মানুষ হাসপাতালে যাচ্ছে বেশি। মশা স্বাস্থ্যের জন্য বিপজ্জনক। আপনারা তো নিয়মিত মশার ওষুধ ছিটান তবে, ঠিক মতো কাজ হচ্ছে না কেন।

এ সময় আদালত সিটি করপোরেশনের উদ্দেশে আরো বলেন, মশা নিধনে কোটি কোটি টাকা যায় কোথায়?

হাইকোর্টের বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে এমন প্রশ্ন তোলেন।

আদালত সিটি কর্পোরেশেনের আইনজীবীকে উদ্দেশ করে বলেন, আমরা মশার জ্বালায় বাঁচি না। মশার জন্য প্রতিবছর কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ হয়, এই টাকা কই যায় আল্লাহ ভালো জানেন।

এ সময় সিটি করপোরেশনের আইনজীবী আদালতকে বলেন, আমরা চেষ্টা করছি। আদালত বলেন, মশা নিধনে আপনাদের পদক্ষেপ যথার্থ না। এসবে হবে না। দুর্নীতি কমান। তাহলেই মানুষ শান্তি পাবে।

আইনজীবী মনজিল মোরসেদ জানান, সিটি করপোরেশন একটি প্রতিবেদন দাখিল করেন আদালতে। এ সময় আদালত আইনজীবীকে উদ্দেশ করে বলেন, রাজধানীজুড়ে এতো মশা আপনারা কী পদক্ষেপ নিচ্ছেন? তিনি জানান,

এর আগে এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার দুই সিটির বায়ুদূষণ রোধে যেসব এলাকার রাস্তায় কাজ চলছে সেসব এলাকায় সকাল-বিকাল পানি ছেটানোর জন্য এবং বায়ু দূষণ রোধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। সেইসঙ্গে আদালতের আদেশ বাস্তবায়নের বিষয়ে অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন।

হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী মঙ্গলবার পরিবেশ অধিদফতরে মহাপরিচালক আদালতে একটি প্রতিবেদন দাখিল করেন। যাতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়ার কথা জানানো হয়।

তবে রিটকারী আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, এই প্রতিবেদন অসম্পূর্ণ। এতে কেবল কিছু প্রতিষ্ঠানকে নোটিশ করার কথা জানানো হয়েছে। তাদের দায়িত্ব যথাযথাভাবে পদক্ষেপ গ্রহণ করা। এ সময় রাষ্ট্রপক্ষ ২ সপ্তাহ সময় চাইলে এ বিষয়ে শুনানির জন্য আগামী ৫ মার্চ পরবর্তী তারিখ ধার্য করা হয়। ওই দিন অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।

এফএইচ/এনএফ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।