স্বাস্থ্য পরীক্ষার মূল্যতালিকা : অগ্রগতি প্রতিবেদন চায় হাইকোর্ট
আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী দেশের সকল বেসরকারি ক্লিনিক, হাসপাতাল, ল্যাবরেটরি ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে স্বাস্থ্য পরীক্ষার মূল্য তালিকা নির্ধারণ ও সে তালিকা প্রদর্শনের নির্দেশ বাস্তবায়নের বিষয়ে কতটা অগ্রগতি হয়েছে সে বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিবের নেতৃত্বাধীন কমিটিকে ওই প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ৭ মার্চ দিন ধার্য করা হয়েছে।
এ বিষয়ে রিটকারীর আইনজীবীর এক আবেদনের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার হাইকোর্টের বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আজ রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন রিটকারীর আইনজীবী ড. বশির আহমেদ। পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, এর আগে হাইকোর্ট তার আদেশে স্বাস্থ্য পরীক্ষার মূল্যতালিকার বিষয়ে প্রতিবেদন চেয়েছিল। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মন্ত্রণালয় থেকে আদালতে কোনো প্রতিবেদন দাখিল হয়নি। তাই বিষয়টি আদালতকে অবহিত করলে আদালত পুনরায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলেছেন।
এর আগে ২০১৮ সালের ২৪ জুলাই দেশের সকল বেসরকারি ক্লিনিক, হাসপাতাল, ল্যাবেরেটরি ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে স্বাস্থ্য পরীক্ষার মূল্য তালিকা আইন অনুসারে প্রদর্শনের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। ১৫ দিনের মধ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সচিব, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলকে ওই আদেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়।
হিউম্যান রাইটস ল’ইয়ার্স অ্যান্ড সিকিউরিং এনভায়রনমেন্ট সোসাইটি অব বাংলাদেশের পক্ষে কোষাধ্যক্ষ মো. শাহ আলম রিটটি দায়ের করেন। রিটে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সচিব ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে বিবাদী করা হয়।
রিট আবেদনে দ্য মেডিকেল প্র্যাকটিস অ্যান্ড প্রাইভেট ক্লিনিকস অ্যান্ড ল্যাবেরেটরিজ (রেগুলেশন) অর্ডিন্যান্স, ১৯৮২ এর ১৪ ধারা কেন সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারির আবেদন জানানো হয়। এই ধারায় বলা আছে, ‘ডিজি হেলথ অথবা তার মনোনীত কোনো কর্মকর্তার লিখিত অভিযোগ ছাড়া কোনো আদালত এ অধ্যাদেশের অধীন কোনো অপরাধ আমলে নিতে পারবেন না।’
এফএইচ/এনএফ/এমএস