সহকর্মীর শ্লীলতাহানি : ইটিভির সেকান্দার কারাগারে
নারী সহকর্মীর শ্লীলতাহানির অভিযোগে দায়ের করা মামলায় বেসরকারি টিভি চ্যানেল একুশে টেলিভিশনের (ইটিভি) প্রধান প্রতিবেদক এম এম সেকান্দার মিয়াকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
দুই দিনের রিমান্ড শেষে বৃহস্পতিবার (৭ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মহানগর হাকিম তাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এ সময় মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা হাতিরঝিল থানার উপ-পরিদর্শক মবিন আহম্মেদ ভূঁইয়া। অপরদিকে সেকান্দারের আইনজীবী জামিনের আবেদন করেন।
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম দেবব্রত বিশ্বাস তার জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর আগে সোমবার তাকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। মামলার মূল রহস্য উদঘাটনের জন্য পাঁচদিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। অন্যদিকে তার আইনজীবী জামিনের আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম সত্যব্রত শিকদার দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত রোববার রাতে রাজধানীর বনশ্রীর বাসা থেকে তাকে আটক করে র্যাবের একটি টিম। পরে তাকে হাতিরঝিল থানা পুলিশে হস্তান্তর করা হয়।
হাতিরঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফজলুল হক বলেন, একজন নারী সংবাদকর্মী থানায় সেকান্দারের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। সেই মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
অভিযোগকারী ওই নারীর দাবি, দীর্ঘদিন ধরে এম এম সেকান্দার তাকে হয়রানি করে আসছিলেন। তিনি প্রকাশ্যে শ্লীলতাহানি করেছেন, যার সিসিটিভি ফুটেজ ও অনেকে সাক্ষীও রয়েছেন।
অভিযোগকারী নারী তার মামলার কপিতে তিনজন পুরুষ ও একজন নারী সাক্ষীর নাম-পরিচয় এবং তথ্য উল্লেখ করেছেন বলেও জানান ওসি।
মামলার কপিতে ওই নারী আরও উল্লেখ করেন, সেকান্দার দীর্ঘদিন ধরে তাকে কুরুচিপূর্ণ ইঙ্গিত করে আসছিলেন। গত ২৭ জানুয়ারি একটি ফাস্টফুডের দোকানে ডেকে তাকে জাপটে ধরে শরীরে হাত দিয়ে যৌন হয়রানি ও শ্লীলতাহানি করেন।
এ বিষয়ে কাউকে কিছু বললে মেরে বস্তায় ভরে লাশ হাতিরঝিলে ফেলে দেবে বলেও হুমকি দেন। ভয়ে মামলা দায়েরে বিলম্ব করেন তিনি।
এ বিষয়ে পরদিন একুশে টিভির এমডি বরাবর একটি অভিযোগ দিলে সেকান্দার বিষয়টি জেনে যান এবং তাকে (ওই নারীকে) রুমে ডেকে কুরুচিপূর্ণ ও বাজে মন্তব্য করেন।
তবে এ বিষয়ে সেকান্দারের স্ত্রী নিলুফার ইয়াসমীন সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেছেন, ‘তার স্বামীকে পরিকল্পিতভাবে ফাঁসানো হচ্ছে।’
জেএ/এমবিআর/পিআর