ভারতে আটক বাদল ফরাজীকে নিয়ে হাইকোর্টে রিট
ভারতের কারাগারে ১০ বছর আটক থাকার পর বর্তমানে বাংলাদেশের কারাগারে বন্দি থাকা বাদল ফরাজীকে বে-আইনিভাবে আটক রাখা হয়নি মর্মে নির্দেশনা সংক্রান্ত বিষয়টি নিশ্চিত করতে হাইকোর্টে একটি রিট দায়ের করা হয়েছে। হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের পক্ষ থেকে এ রিট করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৭ ফেব্রুয়ারি) হাইকোর্টের বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে এ রিটের শুনানি হবে বলে জানিয়েছেন রিটকারীর পক্ষের আইনজীবী মো. আসাদুল্লাহ।
দিল্লির তিহার জেল থেকে ২০১৮ সালের ৬ জুলাই বিকেল ৪টা ২০ মিনিটে জেট এয়ারওয়েজের একটি বিমানে ঢাকায় ফেরত আনা হয় বাদল ফরাজীকে। পরে বিমানবন্দর থেকে তাকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নেয়া হয়।
ঘটনার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০০৮ সালের ৬ মে নয়াদিল্লির অমর কলোনির এক বৃদ্ধা খুনের মামলায় বাদল সিং নামের এক আসামিকে খুঁজছিল ভারতের পুলিশ। ওই বছরের ১৩ জুলাই বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশের সময় বিএসএফ ভুল করে বাদল ফরাজীকে গ্রেফতার করে। ইংরেজি বা হিন্দি জানা না থাকায় তিনি বিএসএফ সদস্যদের নিজের পরিচয় নিশ্চিত করতে পারেননি বাদল।
এরপর খুনের দায়ে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় ২০১৫ সালের ৭ আগস্ট বাদলকে দোষী সাব্যস্ত করেন দিল্লির আদালত। তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়। পরে হাইকোর্টেও সে সাজা বহাল রাখে।
তবে বাদল নির্দোষ এমন বিষয়টি জানার পর গত ১৯ মার্চ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক জরুরি বৈঠক করে তাকে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সর্বশেষ পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের চেষ্টায় বন্দি বিনিময় চুক্তির আওতায় বাদল ফরাজীকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়।
এফএইচ/আরএস/আরআইপি