পরকীয়ার সাজা বৃদ্ধি ও দণ্ডবিধির ৪৯৭ ধারা সংশোধন চেয়ে নোটিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১২:৪২ এএম, ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক বা পরকীয়ার সাজা বৃদ্ধি এবং দণ্ডবিধির ৪৯৭ ধারার সংশোধন চেয়ে আইনমন্ত্রীসহ পাঁচজনকে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ফাইজুল্লাহ ফয়েজ।

মঙ্গলবার রেজিস্ট্রি ডাকযোগে সংশ্লিষ্টদের এ নোটিশ পাঠানো হয়। আইনমন্ত্রী ছাড়াও আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব, সংসদ সচিব ও অতিরিক্ত সচিব এবং সংসদের (আইন) সহকারী সচিবকে নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

এ বিষয়ে ফাইজুল্লাহ ফয়েজ সাংবাদিকদের বলেন, দণ্ডবিধির ৪৯৭ ধারা সংশোধন চেয়ে সংশ্লিষ্টদের একটি নোটিশ পাঠিয়েছি। কেননা, দণ্ডবিধির ৪৯৭ ধারাটি বৈষম্যমূলক এবং সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এই ধারায় নারী-পুরুষের মাঝে বৈষম্য করা হয়েছে। এই ধারায় নারীকে অভিযুক্ত করা যাবে না বলে একপক্ষীয় নিয়ম প্রণয়ন করা হয়েছে।

তিনি বলেন, দণ্ডবিধি আইনে পরকীয়া বলতে বোঝানো হয়েছে- কোনো নারী যদি তার স্বামীর অনুমতি ছাড়া অন্য কোনো পুরুষের সঙ্গে মিলিত হয় সেক্ষেত্রে তৃতীয় পুরুষটিকে অভিযুক্ত করা যাবে, কিন্তু ওই নারীকে অভিযুক্ত করা যাবে না। আবার তৃতীয় পুরুষের বিরুদ্ধে নারীর স্বামী ছাড়া আর কেউ অভিযোগ তুলতে পারবে না বলেও আইনে উল্লেখ আছে, যা বৈষম্যমূলক। তাই আমি আইনের ধারাটি সংশোধন চেয়ে বলেছি- কোনো ব্যক্তি যদি নিজের স্ত্রী বা স্বামী ব্যতীত তৃতীয় কোনো ব্যক্তির সঙ্গে পরকীয়া ও যৌন সম্পর্কে মিলিত হয় তাহলে যেন উভয় ব্যক্তি দোষী হয়।

আইনজীবী ফাইজুল্লাহ ফয়েজ আরও বলেন, পরকীয়ার জেরে স্বামী-স্ত্রীর মাঝে সম্পর্কের অবনতি এবং সে থেকে অনেক অপরাধের সৃষ্টি হচ্ছে। তাই নোটিশে পরকীয়ার সাজা পাঁচ বছর থেকে বৃদ্ধি করে সাত বছর করার দাবি জানিয়েছি।

তিনি বলেন, নোটিশের জবাব দিতে সংশ্লিষ্টদের কোনো নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেয়া হয়নি। তবে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে সুনির্দিষ্ট জবাব না পেলে হাইকোর্টে দণ্ডবিধির ৪৯৭ ধারার সংশোধন চেয়ে রিট দায়ের করা হবে।

এফএইচ/বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।