অফিস চলাকালীন সরকারি ডাক্তারদের প্রাইভেট প্র্যাকটিস বন্ধে রিট

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪:৪৭ পিএম, ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

অফিস চলাকালীন সরকারি ডাক্তারদের প্রাইভেট প্র্যাকটিস বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে সংশ্লিষ্ট শাখায় একটি রিট দায়ের করা হয়েছে। দায়ের করা রিটে প্রাইভেট প্র্যাকটিস বন্ধের ব্যবস্থা গ্রহণে সরকারের নিষ্ক্রিয়তাকেও চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে।

সোমবার (৪ ফেব্রুয়ারি) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ আইনজীবী। তারা হলেন- আইনজীবী আব্দুস সাত্তার পালোয়ান, সালাউদ্দিন রিগান, সুজাত মিয়া, মো. আমিনুল হক এবং মো. কাওছার উদ্দিন মণ্ডল।

রিটের বিষয়টি আইনজীবী আব্দুস সাত্তার পালোয়ান জাগো নিউজকে নিশ্চত করে জানান, রিটে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সচিব, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) সভাপতি এবং বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশেনের (বিএমএ) সভাপতিকে বিবাদী করা হয়েছে।

রিট আবেদনে সরকারি ডাক্তারদের সম্পূর্ণভাবে প্রাইভেট প্র্যাকটিস বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে রুল জারির আবেদন জানানো হয়েছে। এছাড়াও সরকারি হাসপাতালের সকল কার্যক্রম তদারকি করার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালের অনিয়ম বন্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার নির্দেশনাও চাওয়া হয়েছে।

একইসঙ্গে রিট আবেদনে অভিজ্ঞ ও বিশেষজ্ঞদেরে দিয়ে সরকারি ডাক্তারদের প্রাইভেট প্র্যাকটিস বিষয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ নীতিমালা গঠনে একটি স্বাধীন কমিশন গঠনের আর্জি জানানো হয়।

এর আগে অফিস সময়ে সরকারি ডাক্তারদের প্রাইভেট প্র্যাকটিস বন্ধে গত ২৯ জানুয়ারি সংশ্লিষ্টদের আইনি নোটিশ দেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আব্দুস সাত্তার পালোয়ান।

নোটিশে বলা হয়, সরকারি চিকিৎসকদের থেকে চিকিৎসা পাওয়া প্রতিটি নাগরিকের সাংবিধানিক অধিকার। কিন্তু সম্প্রতি নিজ কর্মস্থল সরকারি হাসপাতাল রেখে অনেক ডাক্তার তার ব্যক্তিগত চেম্বারে চিকিৎসা দিচ্ছেন। সরকারি হাসপাতালের কর্মঘণ্টা চলাকালে সরকারি ডাক্তারদের এমন অসদাচারণ আইনের দৃষ্টিতে অপরাধ।

তাই সরকারি ডাক্তারদের প্রাইভেট প্র্যাকটিস বন্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে সংশ্লিষ্টদের এ নোটিশ পাঠানো হয়।

এফএইচ/আরএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।