এনটিআরসিএ চেয়ারম্যানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে রুল

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯:০০ পিএম, ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ৮২ জনের চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে বয়সসীমা ৩৫ বছর নির্ধারণ কেন বেআইনি ও অবৈধ ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসি) চেয়ারম্যান ছাড়াও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিভাগের সচিব, মাদ্রাসা ও কারিগরী শিক্ষ বিভাগের সচিব, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালকসহ এনটিআরসিএর সংশ্লিষ্ট দুই কর্মকর্তাকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে রোববার হাইকোর্টের বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মো. কায়সার জাহিদ ভূঁইয়া। সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট জি এম শরীফুল ইসলাম।

পরে অ্যাডভোকেট জি এম শরীফুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক ও কর্মচারীদের নিয়োগ সংক্রান্ত ১৯৭৯ সালের পরিপত্রে চাকরিতে প্রবেশের কোনো নির্দিষ্ট বয়সসীমা ছিল না। কিন্তু ২০১৮ সালে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগের জারি করা জনবল কাঠামো এবং এমপিও নীতিমালা সংশোধন করা হয়।

ওই সংশোধনীর ১১(৬) ধারায় বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক ও কর্মচারীদের নিয়োগের ক্ষেত্রে বয়সসীমা ৩৫ বছর নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু ২০১৮ সালে জারি হওয়া নতুন ওই নীতিমালার কারণে পূর্বে উত্তীর্ণ সনদধারীরা তাদের নিয়োগ নিয়ে বিপাকে পড়েন।

তাদের মধ্যে নড়াইলের মো. জাহাঙ্গীর আলম, গাজীপুরের মো. হুমায়ুন কবির ও মাগুরার মো. জিয়াউর রহমানসহ বিভিন্ন জেলার মোট ৮২ জন গত জানুয়ারি মাসে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি দায়ের করেন। রিটে ২০১৮ সালের বয়স নির্ধারণী জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালাটিকে চ্যালেঞ্জ করা হয় এবং রুল জারির আর্জি জানানো হয়।

ওই রিটের শুনানি নিয়ে রোববার এনটিআরসিএ চেয়ারম্যানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।

পরে রিটকারীদের মধ্যে নড়াইলের মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এনটিআরসিএ গণবিজ্ঞপ্তিতে (২০১৮ সালে) নিয়োগের ক্ষেত্রে সনদধারীদের বয়সসীমা ২০১৮ সালের ১২ জুনের মধ্যে যাদের বয়স ৩৫ বা তার কম হয়েছে কেবল তাদেরকেই নিয়োগের জন্য আবেদনের সুযোগ করে দিয়ে ছিল। অথচ পূর্বের ২০১০ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত জনবল কাঠামো নীতিমালায় এবং পূর্বের প্রথম থেকে দ্বাদশ শিক্ষক নিবন্ধনের কোনো আইনে যারা ইতোমধ্যে সনদ পেয়েছেন তাদের জন্য বয়স ৩৫ বছর নিয়োগের ক্ষেত্রে উল্লেখ ছিল না।

এছাড়াও পূর্বের নীতিমালা অনুসারে সনদধারী ব্যক্তি নিয়োগ না পাওয়া পর্যন্ত তার সনদের মেয়াদ থাকবে বলেও উল্লেখ করা ছিল। তাই ২০১৮ সালের নীতিমালাটি সাংঘর্ষিক হওয়ায় আমরা ২০১৮ সালের পূর্বের সনদধারীদের মধ্যে ৮২ জন হাইকোর্টে রিট করি।

এফএইচ/এনডিএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।